কলকাতা: নববর্ষ বলতে প্রথমেই যে কথাটা মনে পড়ে, সেটা হল, মা বলতেন 'এমন কিছু করবি না যাতে আজকের দিনটা বকতে হয়, মারতে হয়..'। হালখাতা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া.. সবই হত সেই বাঙালি বাড়ির মতোই। নববর্ষের আগে ছোটবেলার স্মৃতি, সময়ের বদল, এবিপি লাইভের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন জি বাংলার ধারাবাহিক 'জগদ্ধাত্রী'-র নায়িকা অঙ্কিতা মল্লিক (Ankita Mallick)। 


সকালটা শুরু হত মায়ের সেই কথা দিয়ে। অঙ্কিতা বলছেন, 'মা বলতেন, এমন কিছু করবি না যাতে আজকের দিনটা বকতে হয়, মারতে হয়। নববর্ষের দিনটা সাধারণত ছুটি থাকত। বাড়িতেই কাটত সকালটা। খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হত ঠিক যেমন আর পাঁচটা বাঙালি বাড়িতে হয়। প্রচুর জামা উপহার পেতাম। সকাল বেলাই ঘুম থেকে উঠে, স্নান করে একটা নতুন জামা পরার চল ছিল। সেটা পরে পুজো দিতে যেতাম। তারপরে সন্ধে হলেই সবাই মিলে বেরিয়ে পড়তাম হালখাতা করতে। দোকানে দোকানে ঘুরে মিষ্টি, ক্যালেন্ডার জমা করা.. নববর্ষ বলতে এগুলোই মনে পড়ে। এখন প্রত্যেক বছর ঘুম থেকে উঠে আর মায়ের ওই কথাটা শুনতে পাই না বটে, তবে মা-বাবা শাসন তো সবসময় থাকে। কিন্তু এইবছর নববর্ষটা একটু আলাদা রকম কাটবে। বাবা-মায়ের দেওয়া নতুন পোশাক হয়তো পরা হবে, কিন্তু শ্যুটিং থাকবে। এই প্রথম নববর্ষের দিনটা শ্যুটিং বা অন্যান্য কাজ থাকবে। তবে যেটাই থাকুক, এই দিনটা অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু আলাদা। মজা করব। আর খাওয়া দাওয়াটা বাধ্যতামূলক।'


নিজের উপার্জন করার পরে এই প্রথম নববর্ষ অঙ্কিতার। অভিনেত্রী বলছেন, 'নিজে উপার্জন করার পরে এই প্রথম নববর্ষ আমার। এর আগে দুর্গাপুজো এসেছে। তখন বাবা-মা, ভাই-বোনেদের জন্য উপহার নিয়েছিলাম সামর্থ্যমতো। দেখি এইবছর বাবা-মায়ের জন্য কী পরিকল্পনা করতে পারি।'


নববর্ষে নিজের কাছে যদি শপথ করতে হয়? একটু হেসে অঙ্কিতা বললেন, 'যা শপথ করি, তা রাখতে পারি না। তবে প্রত্যেকদিন চেষ্টা করব যাতে আরও ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারি, আমার আশেপাশের মানুষকে ভাল রাখতে পারি। এখনও তেমন কিছু পরিকল্পনা হয়নি। ইচ্ছা আছে, পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে দিনটা কাটানোর। আর শ্যুটিং থাকলে দিনটা ফ্লোরেই কাটবে বাকি দিনগুলোর মতোই।'


শেষমেষ অনুরাগীদের উদ্দেশে 'জগদ্ধাত্রী'-র বার্তা, ' তোমাদের আশেপাশের সমস্ত মানুষদের ভাল রাখতে চেষ্টা করো। নববর্ষ সবার ভাল কাটুক, আনন্দে কাটুক।'


আরও পড়ুন: Poila Baisakh: শ্যুটিংয়েই শুরু বছর, নববর্ষে শ্রুতির শপথ, 'বাবা-মাকে ভাল রাখতে পারি যেন'