কলকাতা: বাবার পেশা ছিল ব্যবসা, ছোটবেলা থেকেই তাই এই দিনটা ভীষণ বিশেষ ছিল তাঁর কাছে। বছরের শুরু থেকে শেষ, ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠা.. তাঁর কাছে চিরকালই আগে প্রাধান্য পেয়েছে পরিবার। আর এখনও তাই। তবে এখন ব্যস্তত বেড়েছে। তারপরেও, কাজে, আনন্দে এই দিনটা তাঁর কাছে চিরকালই বিশেষ। ফেলে আসা নববর্ষের স্মৃতি থেকে আগামী বছরের ছোট ছোট আশা... এবিপি লাইভের সঙ্গে নববর্ষের খুঁটিনাটি শেয়ার করে নিলেন জি বাংলার ধারাবাহিক 'রাঙা বউ' -এর 'পাখি' ওরফে শ্রুতি দাস (Shruti Das)। 


ছোটবেলার নববর্ষের সঙ্গে বোধহয় আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রয়েছে হালখাতার স্মৃতি। শ্রুতির ক্ষেত্রেও তাইই। অভিনেত্রী বলছেন, 'আমার বাবার ব্যবসা ছিল। তাই ছোট থেকেই বাড়িতে হালখাতার চল দেখেছি। সন্ধেবেলায় মা, কাকিমণি.. আমার বেস্ট ফ্রেন্ড কাকিমণি আর ভাই, ৪ জন মিলে বেরিয়ে পড়তাম হালখাতা করতে। তারপর দোকানে দোকানে ঘুরে ক্যালেন্ডার আর মিষ্টির প্যাকেট জমা করা। কী অনাবিল মজা লুকিয়ে ছিল ওই অভ্যাসে। এখন ওই দিনগুলোর কথা ভাবলে ভীষণ মন কেমন করে। এখন অবশ্য প্রত্যেক বছরই নববর্ষে শ্যুটিং থাকে। কাজ শুরু করার পরে এক বছরই নববর্ষে বাড়িতে ছিলাম, কোভিডের সময়। ২০২১ সালে। তখন আমি সদ্য সদ্য কোভিড থেকে সেরে উঠেছি। কাজে একটা বিরতি চলছিল। এই বছরও নববর্ষে শ্যুটিংই থাকবে। শ্যুটিংয়েই আমি ভাল থাকি। এই বছরও রাঙা বউয়ের শ্যুটিংয়েই থাকব।'


ইন্ডাস্ট্রিতে নয় নয় করে বেশ কয়েক বছর কাজ করে ফেলেছেন শ্রুতি। ছোট্ট মেয়ে আর ছোট নেই। নিজের উপার্জন থেকে নববর্ষে মা-বাবাকে কী উপহার দিয়েছিলেন? হেসে ফেলে অভিনেত্রী বললেন, 'বাবা-মা কে তো দিই সারা বছরই। ফোন কিনে দিয়েছি, মা-কে সোনার গয়না গড়িয়ে দিয়েছি। আর সারা বছর শাড়ি, নতুন জামা কেন তো লেগেই থাকে।'


নববর্ষে নিজের কাছে নিজে শপথ নেন যদি? শ্রুতি বলছেন, 'প্রত্যেক দিনই ভাবি, একজন ভাল মানুষ হব। ভাল করে কাজ করব। আর সারাজীবন যেন বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিতে পারি, সারা জীবন এভাবে ভাল রাখতে পারি। আর ভালবাসার মানুষটার সঙ্গে যেন সারাজীবন সুখে থাকতে পারি।'


নববর্ষের দিনটা বন্ধুদের সঙ্গে নয়, পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন শ্রুতি। শুধু নববর্ষ নয়, বছরের সমস্ত বিশেষ দিনেই তাঁর কাছে প্রাধান্য পায় তাঁর পরিবারই। তবে নববর্ষে এখন যেন কিছুটা অতিরঞ্জিত আর আরোপিত বলে মনে হয় শ্রুতির। বলছেন, 'নববর্ষের একাল সেকালে অনেক কিছুই বদলেছে। সেই আবেগ, আন্তরিকতা, ভালবাসাটা এখন যেন আর খুঁজে পাই না। এখন ছোটরা হয়তো ঠিক করে বাংলা সালটাই জানে না। আমরাই বোধহয় শেষ প্রজন্ম নববর্ষ নিয়ে যাদের ছোটবেলার আবেগ রয়েছে, স্মৃতি রয়েছে। তারপরেও, নববর্ষ যেমনভাবই কাটুক না কেন, শুভেচ্ছাটা বদলায় না। আমি চাই সবার নববর্ষ ভাল কাটুক, সবাই ভাল থাকুন নিজের মতো করে।'


আরও পড়ুন: Poila Baisakh Exclusive: ইচ্ছে করে গড়িয়াহাটে দরদাম করে নববর্ষের কেনাকাটা করি, পারি না: স্বস্তিকা