নয়াদিল্লি:  অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া সম্প্রতি ইউনিসেফ-এর দূত হিসেবে জর্ডনে একটি ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। সেখানে সিরিয়া থেকে আসা বহু উদ্বাস্তু পরিবার রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের করুণ অবস্থার কথা জেনে প্রিয়ঙ্কা সেখানকার কয়েকটি ছবি দিয়ে ইন্সটাগ্রামে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন বিশ্বের উচিত উদ্বাস্তু শিশুদের বাঁচার জন্যে, সুস্থ জীবন উপহার দেওয়ার জন্যে, তাঁদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছনোর জন্যে আরও একটু বেশি উদ্যোগী হওয়া।

এই পোস্টের পরই টুইটারে নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে এক টুইটারাইট সরাসরি প্রশ্ন করেন, জর্ডনে না গিয়ে, ভারতের গ্রামগুলোতে কেন তিনি যান না? সেখানেওতো বহু শিশু অনাহারে খাবারের অপেক্ষায় রয়েছে।





তবে এই অযাচিত আক্রমণে মোটেই চুপ হয় যাননি পিসি। তিনি পাল্টা জবাব দেন, গত বারো বছরে তিনি ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার দূত হিসেবে একাধিক জায়গায় গেছেন। কিন্তু রবীন্দ্র গৌতম নামে সেই ব্যক্তি কী করেছেন, তাঁর এতদিনের জীবনে? তারপরই পিসির প্রশ্ন, কেন একজন বা কোনও এক বিশেষ অঞ্চলের শিশুর সমস্যা আরেকজনের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ?

 



তারপরই তিনি বলেন, এটা কোনও সিরিয়ার সমস্যা নয়, কোনও একটি বিশেষ শিশুর সমস্যা নয়। সারা দুনিয়ার সমস্যা। এটা মানবসভ্যতার সঙ্গে জড়িত একটি সমস্যা। আর আমাদের প্রত্যেকের উচিত, সেই সমস্যায় এগিয়ে এসে তার সমাধান করা।সবাই মিলে যদি  এগিয়ে এসে এখনই পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা  না করে, তাহলে এমন দিনও দূরে নয়, যখন শিক্ষার অভাবে এই শিশুরাই সন্ত্রাসবাদকে আপন করে নেবে।

২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে লক্ষাধিক মানুষ জর্ডন, লেবানন, তুরস্ক, ইরাক, মিশরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই উদ্বাস্তু সিরিয়াবাসীর বেশিরভাগ শিশুই কোথাও কোনও স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি। সেই সমস্ত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইউনিসেফ-এর মতো প্রতিষ্ঠান। আর তাঁদের দূত হিসেবে এখন জর্ডন সফরে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।