কলকাতা: লাল বেনারসি, সোনার গয়না আর সিঁথি ভরা সিঁদুর। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভরা বিয়ের ছবিতে। জীবনের সেই বিশেষ মুহূর্তগুলোকে বার বার ফিরে দেখতে চাইছেন ইমন চক্রবর্তী। ভালোবাসার সপ্তাহে কাজের ফাঁকে ইমন উপভোগ করছেন তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায়কে। আজ প্রমিস ডে। স্বামী নীলাঞ্জনকে কোন প্রতিশ্রুতি দেবেন মিসেস ঘোষ? সারাদিনের শ্যুটিং শেষে এবিপি আনন্দর সঙ্গে আড্ডা জমালেন ইমন।




নতুন জীবনে কী কী বদল এল? ‘কিছুই বদলায়নি। আমি আর নীলাঞ্জন আগের মতই কাজে ফিরে গিয়েছি। আমার তো সা রে গা মা পার শ্যুটিং চলছে। নীলাঞ্জনের হাতেও প্রচুর কাজ। হানিমুনে যাওয়ার পরিকল্পনা পর্যন্ত করতে পারিনি এখনও,’ বললেন ইমন। বিয়ের পরেই এত ব্যস্ততা! ইমন হেসে বললেন, ‘আমাদের কাছে কাজটাই প্রধান। বিয়ের আগেই কথা হয়ে গিয়েছিল এটা নিয়ে। আমার আর নীলাঞ্জনের প্রোডাকশানে বসন্ত উৎসব আয়োজন করি প্রতিবার। সেটাও এসে গেল। কাজেই ব্যস্ততা বেশি।’ 




কাজে বদল আসেনি, আর জীবনে? ইমন বললেন, ‘আমার আর নীলাঞ্জনের মা নেই। বাবা আমাদের অনেকটা জুড়ে রয়েছেন। বাবা-পরিবারকে সময় দিয়ে তারপর নিজেদের জন্য সময় বের করি। আর কাজ তো রয়েছেই।’




সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধুই লাল বেনারসিতে ইমন। সবচেয়ে স্পেশাল ছিল কোন মুহূর্ত? ‘অবশ্যই সিঁদুরদান। ওটা একটা অদ্ভুত অনুভূতি। আর... আর নীলাঞ্জনকে বরবেশে দেখা। গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে সমস্ত রীতিই আমরা পালন করেছিলাম একসঙ্গে। সবসময় নীলাঞ্জন আমার পাশে ছিল।’


https://www.instagram.com/p/CK1hPyEAKOX/



বিয়ের পর প্রথম ভ্যালেন্টাইনস ডে। নীলাঞ্জনের জন্য বিশেষ কোনও পরিকল্পনা করলেন ইমন? হাসতে হাসতে গায়িকা উত্তর দিলেন, ‘নীলাঞ্জনের সঙ্গে থাকলে আমার প্রত্যেকটা দিনই ভ্যালেন্টাইনস ডে। আলাদা করে আর উদযাপন করতে হয় না।’




আজ প্রমিস ডে। এই দিনে প্রিয় মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয় নাকি! যদি নীলাঞ্জনকে কিছু প্রমিস করতে হয়? ‘কথার ওজন বড্ড বেশি। আমি ভালো খারাপ সবসময় নীলাঞ্জনের পাশে থাকতে চাই। এই প্রতিশ্রুতি শুধু মুখে বলে নয়, কাজেও করতে চাই,’ ইমনের গলায় আবেগের রেশ।