কলকাতা: তাঁর ছবি নকশাল আন্দোলনের সময়কালকে ফুটিয়ে তুলেছে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kaushik Ganguly) পরিচালিত ছবি কাবেরী অন্তর্ধান (Kaberi Antardhaan) মুক্তি পেয়েছে সদ্য। কিন্তু যে পরিস্থিতিকে ফুটিয়ে তুলেছেন ছবির পর্দায়, ব্যক্তিগত জীবনেও সেই সময়টা পার করে এসেছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। এবিপি লাইভের (ABP Live) কাছে ভাগ করে নিলেন ছোটবেলার গল্প।                                                                                                                                                   


নকশাল আন্দোলনের সময় প্রথম বাড়ি বদল করতে হয় প্রসেনজিৎকে। অভিনেতা বলছেন, '৭৫-৭৬ সাল মানে আমি তখন ভীষণ ছোট।  প্রথমেই যে কথাটা আমার মনে পড়ে, সেটা বাড়ি বদল। সেসময়ে টালিগঞ্জে থাকতাম আমরা। বাবা মুম্বইতে, কাজে ব্যস্ত। নিরাপত্তার জন্য মা আমাকে আর বোনকে স্কুল ছাড়িয়ে দমদমে আমার মামার বাড়ি নিয়ে চলে এলেন। সেইসময় মামারবাড়ি যৌথ পরিবার। অনেকে থাকতেন। আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে সেখানে থাকাটাই নিরাপদ বলে মনে করেছিলেন মা। তখন মোবাইল কেন, যোগাযোগ মাধ্যই ছিল ভীষণ দুর্বল। সন্ধে হলেই বাড়ির সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হত। গোটা বাড়ি জুড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হত। চারিদিকে গুলি-বোমার আওয়াজ। দাদু-দিদিমারা সেই সমস্ত থেকে আমাদের মন ঘোরাবার জন্য আমাদের গল্প বলতেন। ছোটরা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ত মাঝে মাঝে। বমি করত, জ্বর এসে যেত..।'                                                                               


আরও পড়ুন: 'Kaberi Antardhan' Screening: 'কাবেরী অন্তর্ধান' ছবির স্ক্রিনিংয়ে 'কালো' থিম, বসেছিল চাঁদের হাট             


ছোটবেলার স্মৃতি যেন এখনও তাজা অভিনেতার মনে। প্রসেনজিৎ বলে চললেন, 'মাঝে মাঝেই দেখতাম বাড়িতে শোকের ছায়া। তখন অত বুঝতাম না। আমার মাসির একজনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল অনেক ছোটবেলা থেকে। হঠাৎ শুনলাম তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন পরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেল। আমাদের জানতে দেওয়া হত না, কিন্তু পরবর্তীকালে শুনেছি হামেশাই পাড়ায় লাশ পাওয়া যেত। খুব আবছা মনে আছে এই স্মৃতিগুলো.. তবে এই সময় আমি পেরিয়ে এসেছি।'                                               


ইতিমধ্যেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে 'কাবেরী অন্তর্ধান'। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য্য, কৌশিক সেন, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও অন্যান্যরা।