কলকাতা: 'প্রায় ৪০ বছর হয়ে গেল, শ্যুটিং করছি। বাড়িতে থেকেছি ক'ঘন্টা? থেকেছি তো টালিগঞ্জে।' বক্তা, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। 'লাইটস, ক্যামেরা অ্যাকশন'-কে ঘিরেই কেটেছে যাঁর জীবনের সিংহভাগ। পুরষ্কার আর জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে ভারি হয়েছে অভিজ্ঞতার ঝুলিও। 'উৎসব' বাড়িতে নিজের অফিসে বসে এবিপি লাইভকে যখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তিনি, ঘড়ির কাঁটা তখন পেরিয়ে গিয়েছে রাত সাড়ে ১০টা। মগ্ন হয়ে নিজের জীবনের ভৌতিক অভিজ্ঞতার গল্প শোনাচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।


আমার ছেলে হলেও অভিনেতা নয়, মিশুক চায় ফুটবলার হতে: প্রসেনজিৎ


প্রায় ২ বছর পর ফের ক্যামেরার সামনে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে একের পর এর ছবির শ্যুটিং শেষ করছেন তিনি। লাইটস, ক্যামেরা অ্যাকশন শুনে কেমন লাগছে? প্রসেনজিৎ বললেন, 'গত দেড় বছর শ্যুটিং ছাড়া থাকাটা খুব কঠিন ছিল। আমি এমনই একটা মানুষ, যে প্রায় ৪০ বছর ধরে কেবল শ্যুটিং করে আসছি। এটার বাইরে আমি আর কিছু জানি না, পারিও না। গত দেড় বছরে শ্যুটিং ছাড়া যেন ডিপ্রেশানে চলে যাচ্ছিলাম। আমি খুব বেছে ছবি করি, তাই রোজ শ্যুটিং করতে হয়। তবে শ্যুটিংয়ের আগের পরের প্রস্তুতি, সবার সঙ্গে মেশা.. বাড়িতে থেকেছি কতক্ষণ! তারপর আস্তে আস্তে সুরক্ষাবিধি মেনে শ্যুটিং শুরু হল। শুধু কলকাতা নয়, বম্বেতেও আমার একটা কাজ চলছে। কাজ ভালো হলে শ্যুটিং, মেকআপ, স্টুডিও, স্টুডিও চা বুম্বাদার খুব ভালো লাগে এটা সবাই জানে।'


বুম্বাদা কাজ ভালোবাসেন। কাজের সূত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে, কখনও ভৌতিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন প্রসেনজিৎ? নায়ক বলছেন, 'আমি ছোটবেলায় মামার বাড়িতে থেকে বড় হয়েছি। দমদমে। ছোট থেকেই প্রচুর গল্প শুনতাম, ওই বাড়িতে ভূত আছে। কখনও কখনও অস্বাভাবিক কিছু আমিও অনুভব করেছি। একসময় কাজের জন্য ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে প্রায়ই রাতে থেকেছি। সবাই একটা বিশেষ ঘরের কথা বলত। সেই ঘর থেকে নাকি মেয়েদের শাড়ির আওয়াজ শোনা যায়, ঘুঙুর বাজে, পাওয়া যায় হাসির আওয়াজও। তখন এই ইন্দ্রপুরী ছিল না। একেবারে অন্যরকম ইন্দ্রপুরী। অনেক রাত্রে মেকআপ রুমে শুয়েছি আমি। এমন আওয়াজ আমিও অনুভব করেছি।'