কলকাতা: একজনের জন্মদিনের শুরু, অন্যজনের জন্মদিনের শেষ। বাংলার দুই নায়ক তখন দাপিয়ে কাজ করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। কান পাতলে শোনা যেত, ২ জনের মধ্যে নাকি রেশারেশি রয়েছে। তবে খুব ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, সম্পর্কের সমীকরণ ছিল একেবারেই আলাদা। দুই নায়ক একে অপরকে ভীষণ স্নেহ করতেন। আজ জন্মদিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee)। আর এর ঠিক আগেরদিন, অর্থাৎ গতকাল, ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মদিন ছিল তাপস পালের (Tapas Paul)। আর নিজের জন্মদিনে, প্রসেনজিতের সমাজ মাধ্যমের পাতায় ভেসে উঠল, নায়ক, বন্ধু, সহ অভিনেতার কথা।
একটা সময়ে চুটিয়ে ২ জনের কাজ করেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। একসঙ্গে সিনেমাও করেছেন। তবে তাঁদের মধ্যে একজন এখন কেবলই স্মৃতি। তাপস পাল নেই। আর তাঁর স্মৃতিতেই একটি পুরনো ছবি ভাগ করে নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবিটা একটি সিনেমার দৃশ্য। তাপস পাল, দুই হাতে ধরে রয়েছেন প্রসেনজিতের মুখ। ছবিটি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, 'এই মুহূর্তে আমরা দুজন অনেক বছর একসঙ্গে কেক কেটেছি ...তোর ২৯ শে আমার ৩০ শে জন্মদিন...খুব মনে পড়ছে আজ তোর কথা...খুব ভাল থাকিস রে'। ১২টা বাজার সামান্য আগেই এই পোস্টটি করেছেন তিনি। অর্থাৎ, কখনও একসঙ্গে সেটে কাজ করতে করতে এই দিনটা এলে, তাঁরা ২ জনে এক কেক কেটে উদযাপন করতেন জন্মদিন।
শুধু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পোস্ট কেন, সদ্য এবিপি লাইভ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, তাপস পাল আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এই সম্পর্কের কথাই শুনিয়েছেন তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পাল (Nandini Paul)। তিনি বলেছেন, 'আমি কার্যত ইন্ডাস্ট্রির স্বর্ণযুগটাকে দেখেছি। সেই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিটা একটা বিশাল বড় পরিবার ছিল। আমার যখন বিয়ে হয়, আমি ক্লাস ১০। ওর সমসাময়িক বলতে বুম্বার (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) কথাটাই প্রথম আসে। তাপস আমায় বুঝিয়ে দিয়েছিল, বুম্বার পরিবার আর আমার পরিবার গোটা একটা পরিবার। মাসিমাও হল ওর মা। আমি কখনও রেষারেষি টের পাইনি। খুব স্বাস্থ্যকর একটা প্রতিযোগিতা ছিল। বুম্বার ছবি মুক্তি পেলে আমি সেটারও ভাল চেয়েছি, যতটা তাপসের ছবি মুক্তির সময় ভাল চেয়েছি। এই ভালবাসার বীজটা তাপসই আমার মধ্যে বপন করেছিল।'