তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: এই ছবি নিয়ে যাঁর আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি.. বিদেশে থাকার দরুণ তাঁরই এখনও দেখা হয়নি সেই ছবি! মুক্তির আগে, ছেলের থেকেই নাকি আপডেট পেতেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)! 'দশম অবতার' (Dawsham Avataar) মুক্তির পরে, কী বলছে ছেলে তৃষাণজিৎ? এবিপি লাইভকে (ABP Live) সেই গল্পই শোনালেন 'বুম্বাদা'।
'শেষ পাতা' (Sesh Pata)-র থেকে মিশুকের (তৃষাণজিতের ডাক নাম) আগ্রহ নাকি অনেক বেশি ছিল 'দশম অবতার' নিয়ে। প্রসেনজিৎ বলছেন, 'এই ছবিটা অনেক বেশি বর্তমান প্রজন্মের জন্য। আর আমার, সবচেয়ে কাছের বর্তমান প্রজন্ম মানে মিশুক। ও এই ছবিটা নিয়ে প্রথম থেকেই ভীষণ উৎসাহী। টিজার, ট্রেলার মুক্তির পরে ওই প্রথম আমায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। এমনকি, রূপমের একটা গান মুক্তির খবরই জানতাম না আমি। মিশুক রূপমের খুব ভক্ত। ওই জানিয়েছিল, রূপম দারুণ গানটা গেয়েছে। এমনকি, আমার মাধ্যমে রূপমকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিল। এমনকি, আমার হাউজফুলের প্রথম খবরগুলো ওই আমায় দিচ্ছিল। মিশুক ছবিটা দেখতে চেয়ে পাগলের মতো করছে। কিন্তু হস্টেলে থাকার জন্য, দেখতে পাচ্ছে না। নভেম্বরে ও আসবে, তারপরেই দেখার সুযোগ পাবে।'
১১ বছর পরে, পর্দায় সৃজিতের (Srijit Mukherjee)-র হাত ধরে এক অন্য প্রবীরকে ফেরালেন প্রসেনজিৎ। এবার কি তিনি আরও পরিণত? প্রসেনজিৎ বলছেন, 'আমি মনে করি, চরিত্র দিয়ে পরিণতিবোধ আসে না। এটা একটা প্রক্রিয়া। ছবির পর ছবি করে যাও.. তাতেই পরিণত হবে। আমি একদিকে যেমন 'জুবিলি' করছি, অন্যদিকে 'বাল্মিকী' করছি... আবার প্রবীর রায়চৌধুরীও করছি। আমি চরিত্র নিয়ে খুব বেশি তাড়াহুড়ো করি না। কেবল ভেবে নিই, কোন চরিত্রকে কিভাবে ফুটিয়ে তুলব। এর কৃতিত্ব আমার নয়। আসলে আমার সঙ্গে যে পরিচালকেরা কাজ করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আমার ভাল আর মন্দ দিকগুলো সম্পর্কে ওয়াকিহাল। আজ পর্যন্ত সৃজিতের সঙ্গে যে কয়েকটা কাজ করেছি, প্রত্যেকটাই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। ২-৩ বছর পরে একটা ছবি করলেও, সৃজিত আমার থেকে সেরাটা বের করে নিতে জানে, ঠিক যেমন ঋতুদা করত। আবার অতনু, কৌশিক.. এটা আমার অভিনয় থেকে আলাদা আলাদা স্তরকে আবিষ্কার করেছে প্রত্যেক ছবিতে। এদের প্রত্যেকের সঙ্গে কাজ করতে ভীষণ স্বস্তিদায়ক।'