কলকাতা: পুজো বলতেই ম্যাডক্সে আড্ডা, বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া আর ঠাকুর দেখা.. কিন্তু কোভিড বদলে দিয়েছে সবটা। গত ২ বছর দুর্গাপুজো কেটেছে কার্যত বাড়িতেই। তবে এই বছর অনেকটাই কম প্রভাব করোনার। ২ বছরের খরা কাটিয়ে যেন নতুন উদ্যমে নিজেকে সাজাচ্ছে তিলোত্তমা। এবার পুজোয় কী কী পরিকল্পনা রয়েছে অভিনেত্রী অঙ্গনা রায়ের (Angana Roy)? এবিপি লাইভের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় ভাগ করে নিলেন সেই কথা।
পুজোর অনেকটা সময় ম্যাডক্স স্কোয়ারে বসে আড্ডা দিতে পছন্দ করতেন অভিনেত্রী। তবে সেসব করোনা পূর্ববর্তী যুগের কথা। অঙ্গনা বলছেন, 'করোনার প্রকোপ অনেকটা কমলেও একেবারে চলে যায়নি ভাইরাসটা। সদ্য আমার আবাসনের কিছু মানুষই করোনা আক্রান্ত হয়েছেল। তাই গত বারগুলোর মতোই একটু ভিড় এড়িয়ে চলব আমি। ম্যাডক্স ক্সোয়ারে বসে আড্ডার চেয়ে বাড়িতেই ডেকে নেব বন্ধুদের। আমার বেশ কিছু বন্ধু কাজের সূত্রে বাইরে থাকে। এবার ওরা ফিরলে বাড়িতেই ওদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা হবে। এছাড়া আমার আবাসনে পুজো হয়, সেখানেও থাকব।'
পুজোর সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। অঙ্গনা বলছেন, 'পুজোর সময় ডায়েট মানি না। অষ্টমীর দিন ভোগ আমার চাইই চাই। সে আবাসনের পুজো হোক বা বাইরের কোনও পুজোয়। অষ্টমীর সকালে শাড়ি পরে অঞ্জলি আর দুপুরের ভোগ, এই ২টো ছাড়া যেন পুজো জমেই না। নবমীর দিনটাও আমি আবাসনের পুজোয় থাকি। আমার পুজোর খাওয়া শুরু হয় পঞ্চমী থেকেই। ইডিএফ মাঠে পুজোর সময় একটা মেলা হয়। সেখানে প্রতিবার গিয়ে নাগরদোলা চড়া আর বিশেষ এক ফুচকা বিক্রেতা কাকুর থেকে ফুচকা খাওয়া বাধ্যতামূলক। ওটাই আমার পুজোর শুরু। এছাড়া প্রতি বছরই ষষ্ঠীর দিন কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় যাই। অনেক বছর ধরে এটা চলে আসছে। তবে এই বছর ভিড় এড়াব বলে পরিকল্পনা করছি বন্ধুদের বাড়িতেই ডেকে নেব।'
আরও পড়ুন: Angana Roy Exclusive: ক্লাস ফোরে পাড়ার দাদাকে ভাল লাগত, বলার সাহস হয়নি: অঙ্গনা রায়
সদ্য মুক্তি পেয়েছে অনুপম রায়ের নতুন মিউজিক ভিডিও 'গা ছুঁয়ে বলছি'। সেখানে দেখা গিয়েছে অঙ্গনা ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়কে। গান জুড়ে, সুরে কথায় যেন প্রেম মোড়া। আর এই প্রেম যেন নব্বইয়ের দশকের। শ্যুটিং করতে গিয়ে নিজের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারলেন অঙ্গনা? হেসে ফেলে অঙ্গনার উত্তর, 'এখনই একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমার ছোটবেলা কেটেছে আসানসোলে, স্কুলের তাগিদেই কলকাতা আসতে হত। তখন এই শহরটাকে মোটেই ভালো লাগত না। পুজো মানেই আসানসোল যাওয়া, ওখানকার বন্ধুরা। আমাদের পাড়ায় এক দাদা ছিল। তখন আমার বড়জোর ক্লাস ফোর বা ফাইভ। পুজোর ছুটিতে আসানসোল ফেরার টানের একটা অন্যতম কারণ ছিল সেই দাদাকে দেখতে পাব। একবার মনে আছে মণ্ডপে গেছি বন্ধুদের সঙ্গে, দেখি সেই দাদা বসে আছে। আমাদের দেখে ওরা ডেকে নিল। সেই দাদার তখন আমার দিকে নজরও নেই। পাড়ার ছোট্ট মেয়ের মতোই দেখত আমায়। কিন্তু আমার তখন... মণ্ডপের মাইকে বাজছে 'তেরি আঁখে ভুলভুলাইয়া..' আর আমি বিভোর হয়ে তাকিয়ে আছি সেই দাদাটার দিকে। এক্কেবারে ছোটবেলায় বোধহয় এত হিসেব নিকেশ থাকে না, প্রেমের অনুভূতিও বোঝার বয়স হয় না। থাকে কেবল মুগ্ধতা আর একরাশ সারল্য। সেই দাদাটাকে কখনও বলার সাহস হয়নি.. 'গা ছুঁয়ে বলছি.. তোমায় দারুণ লাগে'।'