মুম্বই: সঙ্গীতজগতে ফের শোকের ছায়া। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রাণ চলে গেল জনপ্রিয় গায়কের। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পঞ্জাবি গায়ক হরমন সিধুর। নিজের গ্রামে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। তাঁর গাড়ির সঙ্গে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা ট্রাকের ধাক্কা লাগে বলে খবর। (Harman Sidhu Death)

Continues below advertisement

পঞ্জাবের মানসা জেলার খয়ালা গ্রামের বাসিন্দা হরমন। শনিবার নিজের গ্রামেই ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়, মানসা-পটিয়ালায় একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর গাড়ির। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, তা শিউরে ওঠার মতো। গাড়ির সামনের অংশ একেবারে ট্রাকের নীচে ঢুকে গিয়েছে বলে দেখা যায়। একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। মানসা সিভিল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। .(Harman Sidhu Dies)

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ঘটনাস্থলেই মারা যান হরমন। মিস পূজার সঙ্গে ‘পেপার ইয়া প্যায়ার’ গানের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। প্রকাশের পরই ভাইরাল হয়ে যায় সেই গান। তাঁর কণ্ঠও ছিল অসাধারণ। প্রচুর মানুষ তাঁর অনুরাগী হয়ে ওঠেন। মূলত Gen Z-দের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর গানের কথার সঙ্গে আত্মিক টান অনুভব করতেন অনুরাগীরা।

Continues below advertisement

কেরিয়ারের শুরুতে পাওয়া সাফল্য ধরে রেখেছিলেন হরমোন। পর পর বেশ কয়েকটি গান হিট হয় তাঁঁর। কিন্তু কেরিয়ারের মধ্যগগনে পৌঁছনোর আগেই প্রাণ চলে গেল। হরমোনের পরিবার জানিয়েছে, আরও দু’টি গানের শ্যুটিং করে রেখেছিলেন তিনি। ২০২৫ সালের শেষেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

জনপ্রিয় তারকা, ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না হরমনের পরিবারের লোকজন। মা-বাবার একমাত্র ছেলে তিনি। স্ত্রী এবং কন্যাও রয়েছে তাঁর। মাত্র দেড় বছর আগেই মারা যান বাবা। সিধুর জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে, ‘মেলা’, ‘পেপার ইয়া প্যায়ার’, ‘ক্ষেতি’, ‘মোবাইল’, ‘পই গয়া প্যায়ার’, ‘পিন্ড’। ২০০৯ সালে তাঁর অ্যালবাম ‘Ladia’ মুক্তি পায়।

২০১৮ সালে হরমন এবং তাঁর চার বন্ধু সিরসায় গ্রেফতার হন। তাঁদের কাছ থেকে বেআইনি মাদক, হেরোইন উদ্ধার হয়। পরে যদিও মুক্তি পান হরমন। সেই ,ময় নিজের নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া নিয়ে খোলাখুলিই আলোচনা করেন তিনি। ২০১৫ সালে ‘চিট্টা’ নামের যে গানটি প্রকাশ করেন, তাতে মাদকের কুপ্রভাবই তুলে ধরেন।