কলকাতা: বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচল । রাস্তায় রাস্তায় ঝস.. কোথাও হড়পা বানের চোটে বিপর্যস্ত জনজীবন!  কয়েকদিন ধরে হিমাচলের উঁচু এলাকায় টানা বৃষ্টি হওয়ায় বিপাশার জলস্তর কোথাও কোথাও বিপদসীমা ছাপিয়ে গিয়েছে । বিপাশার কবল থেকে রক্ষা পায়নি হিমাচলের ‘লাইফলাইন’ চণ্ডীগড় মানালি জাতীয় সড়কও । আর এই পরিস্থিতিতে লাদাখে আটকে আছেন অভিনেতা আর মাধবন (R Madhavan) । সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর শেয়ার করে আর মাধবন । তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'আশা করছি হয়তো বাড়ি ফিরতে পারব ।'

তবে মাধবনের এই অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয় । ২০০৮ সালে  ‘থ্রি ইডিয়টস’ (Three Idiots) সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়ে একই ঘটনা হয়েছিল । সেই সময়ে প্যাংগং লেকে আটকে পড়েছিলেন মাধবন । ১৭ বছর পরেও একই ঘটনা ঘটল এবারেও । মাধবন লিখেছেন, 'কোনও বিমান নেই । ১৭ বছর পর ফের একই ভাবে আটকে গেলাম ।' শোনা যাচ্ছে, 'ধুরন্ধর' সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়েই লাদাখে আটকে গিয়েছেন অভিনেতা । 

কী অবস্থা এখন লাদাখের? রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি আটকে রয়েছে । বিশেষ করে কুলু এবং মানালির মাঝে বেশ কয়েকটি জায়গায় জলস্রোতে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক । ফলে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ছে শয়ে শয়ে গাড়ি । আটকে রয়েছেন যাত্রীরাও । এই পরিস্থিতিতে মাধবন কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন, তা এখনও অনিশ্চিত । লাদাখে আটকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ১৭ বছর আগেকার স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন মাধবন । 

সম্প্রতি 'রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে' ফের মুক্তি পেয়েছে বড়পর্দায় । এই ছবি নিয়ে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দিতে বসে দিয়ে আর মাধবন বলছিলেন, এই ছবি না চলার জন্য কতটা ভেঙে পড়েছিলেন তাঁরা । কতটা প্রত্যাশা নিয়ে কাজের পরেও এই ছবি না চলার জন্য কতটা মনখারাপ হয়েছিল তাঁদের, সেই স্মৃতি উঠে এল দিয়ার কথা । অভিনেত্রী বলছেন, 'একদিন শ্যুটিংয়ের ফাঁকে আমরা ৫ মিনিটের একটা বিরতি পেয়েছিলাম । সেই সময়ে মাধবণ আমায় বলেছিল যে ওর খুব আশা এই ছবিটা চলবে । কারণ মানুষ সিনেমাটার সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পাবে । দিয়া সহমত পোষণ করে বলেছিলেন, আশা করা যায় ।' তবে বাস্তবে তা হয়নি । ছবিটা পরবর্তীকালে সমাদৃত হলেও, সেই সময়ে বক্সঅফিসে মোটেই ভাল ব্যবসা করতে পারেনি । ফলে ভেঙে পড়েছিলেন দিয়া আর মাধবন ।