কলকাতা: গোটা ছবিতে অন্যান্য চরিত্ররা রয়েছেন বড়জোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট। বাকি ছবির দায়িত্ব গোটাটাই তাঁর কাঁধে। এমন চরিত্র সুযোগ যে কোনও অভিনেতা কাছে খুব কমই আসে। আর তাই নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ছবি, 'মৃত্যুপথযাত্রী'। 


'মৃত্যুপথযাত্রী' ছবির চিত্রনাট্য লেখক ও পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্ত। কান সিং সোধার প্রযোজনা সংস্থা কেএসএস প্রোডাকশন অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের তরফ থেকে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। সিনেমার শুরু হয় মৃত্যুর ঠিক আগের রাত থেকে। গোটা ছবি জুড়ে কেবল গরাদ, ফিরে দেখা অপরাধ, অনুতাপ তারপর মৃত্যু। গরাদের ওপারের একাকিত্ব, অনুতাপ সবকিছু অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন রাহুল। একাই গরাদের এপারে কখনও দেওয়ালে সরি লিখছেন রাহুল, কখনও আবার দেওয়ালে মাথা ঠুকতে ঠুকতে বলছেন আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। শেষে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তাই পরদিন সকাল ৬ টায় তার ফাঁসি।


আরও পড়ুন: Iman Jojo on Roddur Roy: 'ওঁর অশালীন ভাষার শেষ হোক', রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইমন-জোজো


গোটা ছবিতেই একটা সেলের মধ্যে বন্দি ক্যামেরা আর রাহুল। কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি? অভিনেতা বলছেন, 'গোটা ছবি জুড়ে থাকার সুযোগ খুব কম অভিনেতা অভিনেত্রী পান। গোটা ছবির দায়িত্ব আমার কাঁধে। আমার অভিনয় যদি খারাপ হয়, গোটা ছবিটাই নষ্ট হবে। চেষ্টা করেছিলাম নিজেকে তৈরি করার। সেইসময় ধারাবাহিকের শ্যুটিং করছিলাম না আমি। নিজেকে একটা ঘরে ১৫ দিন বন্দি রেখেছিলাম। ঠিক করোনার সময় যেমন করে ছিলাম। বাইরে থেকে খাবার দিয়ে যেতেন মা। সেই ১৫ দিন কারও সঙ্গে কথা বলিনি। সংশোধনাগারে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন হয়, বুঝেছিলাম।'


সেইসঙ্গে রাহুল যোগ করেন, 'সৌম্য এই ছবিটা নিয়ে খুব গবেষণা করেছে। ও অনেক কিছু পড়তে বলেছিল আমায়। সেগুলোও খুব সাহায্য করেছিল।'