সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আনিস খান (Anis Khan) হত্যাকাণ্ডে সিবিআই (CBI) চেয়ে মামলা, শুনানি শেষ। এই মামলায় আপাতত রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। রাজ্য সরকারের উদ্দেশে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘অভিযোগ একমাত্র পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে। এরপরেও মনে হয় মানুষ পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখবে?’                                   


চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হাওড়ার আমতায় আনিস খানের রহস্যমৃত্যু হয়! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশেরই SIT।  কিন্তু CBI তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহতের পরিবার। ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে পুলিশি অভিযান যে নিয়ম মেনে হয়নি, তা আগেই আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে এদিন মামলার চুড়ান্ত শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী দাবি করেন, আনিস খানের বাবা পুলিশের কাছে যে অভিযোগ জমা দিয়েছেন, সেটা তিনি লেখেননি। অন্য কেউ লিখে দিয়েছেন। তিনি সই করেছেন।                                          


আরও পড়ুন, নাবালিকার মরণোত্তর দেহ দান SSKM হাসপাতালের অ্যানাটমি দফতরে


তবে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘কোনও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে আসছে কিনা দেখতে হবে। একটি থানার মামলায় অন্য থানা অভিযানে যাচ্ছে, প্রক্রিয়াটিই ত্রুটিপূর্ণ। একজন অতিরিক্ত এসপির মেসেজ থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে এটাও মাথায় রাখতে হবে। কোন পদমর্যাদার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেটা বড় কথা নয়। এখানে একমাত্র পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে পদমর্যাদারই হোন না কেন। এরপরেও মনে হয় পুলিশের তদন্তের উপর মানুষের আস্থা থাকবে?’ আনিস হত্যাকাণ্ডের মামলায় রাজ্য সরকারের উদ্দেশে এমনই প্রশ্ন হাইকোর্টের।


অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের তত্ত্ব খারিজ করে পাল্টা দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। বলা হয়, ‘রাজ্য সত্য উদ্‍‍ঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে, তদন্তে কিছুই উঠে আসেনি। কার নির্দেশে পুলিশের অভিযান, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি সিট। মামলাকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। পুলিশ জোর করে ঘরে ঢুকে আনিস খানকে হত্যা করেছে। আর রাজ্য বলছে, আনিস দুর্ঘটনাবশতঃ পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। গ্রামবাসীরা এই তত্ত্ব মেনে নিতে পারছে না’।