কলকাতা: একইদিনে মুক্তি পেয়েছে তাঁর দুটি ছবি.. 'লাভ-সিতারা' (Love-Sitara) এবং 'হনিমুন ফটোগ্রাফার' (Honeymoon Photographer)। আর এই দুটি ছবিতেই রয়েছেন তিনি, রাজীব সিদ্ধার্থ (Rajeev Siddhartha)। এর আগে 'ফোর মোর শর্টস প্লিজ', 'হান্ড্রেড', 'আশ্রম'-এর মতো একাধিক ছবি ও ওয়েব সিরিজে কাজ করে প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। আই এই দুটি প্রোজেক্টে সম্পূর্ণ বিপরীত দুটি চরিত্রে দেখা গিয়েছে রাজীবকে। কেমন ছিল এই দুটি প্রোজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা? মুম্বই থেকে এবিপি লাইভ বাংলার (ABP Live Bangla)-র সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিলেন অভিনেতা রাজীব সিদ্ধার্থ। 


কেমন ছিল 'লাভ-সিতারা' ও 'হনিমুন ফটোগ্রাফার'-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা? রাজীব বলছেন, 'একজন অভিনেতা তখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যখন তাঁকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন দুটি চরিত্রে দেখা যায়। 'লাভ-সিতারা' ও 'হনিমুন ফটোগ্রাফার'-এ আমার চরিত্র দুটো সম্পূর্ণ অন্যরকম। একটিতে আমি ভীষণ অনুভূতিশীল একটা মানুষ, একজন ভদ্রলোক। আর অন্যটিকে আমি একেবারেই একটি নেতিবাচক চরিত্র। অনেক সময় অভিনেতারা টাইপকাস্ট হয়ে যান। তখন একই রকমের চরিত্রের অফার আসতে থাকে। তবে আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার কাছে সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন চরিত্রের অফার এসেছে। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করেছি দুটি চরিত্রকে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ফুটিয়ে তোলার। আর এই দুটি কাজই একই দিনে মুক্তি পেল। এটাই দর্শকদের জন্য চমক হবে কীভাবে একটা মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন।'


কেমন ছিল শোভিতা ধুলিপালার (Sobhita Dhulipala) সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা? রাজীব বলছেন, 'কোনও কাজ তখনই ভাল হয় যখন প্রত্যেকটা অভিনেতা অভিনেত্রী একই লক্ষ্যে কাজ করেন। শোভিতাজীর সঙ্গে কাজ করার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। শোভিতা আর আমাদের সমস্ত কাস্ট আর ক্রু চাইছিলাম সিনেমাটা যাতে ভাল হয়। আমাদের পরিচালক ভীষণ ভাল ছিলেন। আমরা চেয়েছিলাম আমাদের সিনেমাটা তারার মতোই ঝলমল করুক।' কীভাবে চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রাজীব? অভিনেতা বলছেন, ' 'লাভ-সিতারা' ছবিতে আমার চরিত্রটা একজন হোটেলের রাঁধুনির। হোটেলের শেফরা যখন রান্নাঘরে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে অদ্ভুত একটা জেদ, আত্মবিশ্বাস কাজ করে। মনে হয় এটা তাঁদের জায়গা। আমি প্রায় মাস দুয়েক মতো আমি একটা হোটেলের কিচেনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কীভাবে রান্না করেন, কীভাবে সবজি কাটা হয়.. সমস্ত লক্ষ করতাম। এতটাই মিলে মিশে গিয়েছিলাম যে আমিও অতিথিদের থেকে অর্ডার নিতাম। নিয়ে এসে কিচেনে বলতাম যে কোন টেবিলে কোন অর্ডার হবে।'


বাংলায় কখনও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে রাজীবের? অভিনেতা বলছেন, 'আমি সত্যজিৎ রায়ের নায়ক দেখে বাংলা কাজের অনুরাগী হয়ে গিয়েছি। এত সুন্দর, এত মননশীল কাজ বাংলায় হয়.. আমার ধারণার বাইরে ছিল। আমি যে কতবার সত্যজিৎ রায়ের নায়ক-টা দেখেছি। আমি থিয়েটারে কাজ করি। নাটক করতে কলকাতাতেও গিয়েছি। কখনও বাংলা ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেলে অবশ্যই করতে চাইব। এই সুযোগে ভাষাটাও শিখে নিতে পারব।'


আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty: 'কলকাতার অন্ধ গলি থেকে এসেছি, মুম্বইয়ের ফুটপাথে থেকেছি', দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের খবরে আবেগপ্রবণ মিঠুন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।