কলকাতা: বলিউডে স্টারকিডের সংখ্য়া নেহাত কম নয়। আর বারংবার স্বজনপ্রীতির অভিযোগও উঠেছে তাবড় শিল্পীদের বিরুদ্ধে। অমিতাভ বচ্চন থেকে ঋষি কপূর, অনিল কপূর কে নেই এই তালিকায়। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একাধিকবার আঙুল তুলেছে এই স্টারকিডদের দিকে। তবে এবার সোনম কপূরের (Sonam Kapoor) ভূয়সী প্রশংসা করলেন অভিনেতা  রাজকুমার রাও (Rajkumar Rao)।


সম্প্রতি এই ন্য়াশনাল চ্য়ানেলে সাক্ষাৎকারে সোনম কপূর (Sonam Kapoor) সম্পর্কে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন রাজকুমার রাও (Rajkumar Rao)। ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপ্রীতি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, অভিনেতা জানান যে, অনিলকন্য়া এখন অত্য়ন্ত ভাল সহকর্মী ও খাঁটি মানুষ। তিনি এও জানান যে,  সোনম (Sonam Kapoor) তাঁর প্রিয় বন্ধুদের মধ্য়ে একজন। কিছুদিন আগেই  সোনমের ছেলে বায়ুর সঙ্গেও তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন একথাও জানাতে ভোলেননি 'শাদি মে জরুর আনা' অভিনেতা।


পাশাপাশি রাজকুমার রাও (Rajkumar Rao) আরও জানান যে, স্টারকিডদের সুবিধে বলতে একটাই যে তারা গুণী শিল্পীদের চোখের সামনে দেখে বড় হন। তিনি বলেন, এর একটা অসুবিধার দিকও আছে, স্টারেদের বাড়ির বাচ্চাদের অনেকেই গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করেন না। আর যদি তাঁরা নিজের কাজের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেন, তখনই তাঁদেরকে তুলনা করা শুরু হয়ে যায়।


আরও পড়ুন...


Akanksha Dubey Suicide: ভোজপুরি অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবের রহস্যমৃত্যু, হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ


এপ্রসঙ্গে তিনি হলিউডের অনুসঙ্গও তুলে আনেন। তিনি বলেন, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র থেকে জেনিফার অ্যানিস্টন, তারকা সন্তান হয়েও তাঁরা নিজেদের দক্ষতায় নিজেদের মাটি শক্ত করেছেন। 


একবার সোনম কপূর (Sonam Kapoor) তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ১৭ বছর বয়সেই সঞ্জয় লীলা ভনসালীকে অ্য়াসিস্ট করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাবা অনিল কাপুর জোর দিয়েছিলেন যে তার বিধু বিনোদ চোপড়ার সঙ্গেই তাঁর কাজ করা উচিত। সেই ইন্টারভিউতে সোনম আরও জানান যে,অনিল কপূর তাঁকে বলেছিলেন যে বিধু তাঁর বন্ধু, কিন্তু তিনি সঞ্জয়কে ভাল করে চেনেন না। তবে অবশেষে ২০০৭ সালে সঞ্জয়ের 'সাওয়ারিয়া' ছবির মাধ্য়মে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেন সোনম ।


প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে নেপোটিজম নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী সারা আলি খান। তিনি বলেন,  'যে সমস্ত জিনিস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না সেই সম্পর্কে বেশি ভাবা, চর্চা করা, বা গুরুত্ব দেওয়া একেবারে লাভজনক নয়। এখন আমার মা বাবা কে, সেটা তো আমি বদলাতে পারব না। আমার চেষ্টা এটাই থাকবে যে নিজের অস্তিত্ব যাতে নিজে তৈরি করতে পারি। কিন্তু আমি আমার নামের থেকে পালাতে তো পারব না, এবং আমি পালাতে চাইও না। কিন্তু আমার চেষ্টা এটাই থাকবে যে মানুষ যাতে আমার কাজ পছন্দ করে এবং ফলস্বরূপ তাঁরা যাতে আমাকে স্বতন্ত্রভাবেও চেনে।'