কলকাতা: ছোটপর্দার ভীষণই জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। একের পর এক ধারাবাহিকের মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করে তিনি অতি অনায়াসেই দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ছোটপর্দা থেকে দূরে তিনি। জীবনে ধাক্কা খাওয়ার পরে, অভিনয়, রুপোলি পর্দার দুনিয়া থেকে অনেকটা দূরে তিনি। নিজের মতো করে জীবন সাজিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রচারের আলো থেকে একেবারে দূরে তিনি। শুরু করেছেন চাষবাস! 'আগলে জনম মোহে বিটিয়া হি কিজো'-র লালীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। রতন রাজপুত (Ratan Rajput)। আপাতত অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন তিনি।
'আগলে জনম মোহে বিটিয়া হি কিজো'-তে অভিনয় করে সম্প্রচারের আলোয় এসেছিলেন রতন। এরপরে, 'রাধিকা কি বেটিয়াঁ', 'সন্তোষী মা' এবং 'মহাভারত'-এর মতো শো-গুলির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুধু তাই নয়, রতন টেলিভিশনে একটি স্বয়ম্বর সভারও আয়োজন করেছিলেন। এর আগে, রাখী সবন্ত (Rakhi Sawant) ছোটপর্দায় স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করেছিলেন। সেখানেই বিবাহ করেছিলেন তিনি। অনেক প্রতিযোগী এসেছিলেন এই শো-তে। সেখান থেকেই রতন বেছে নেন মনের মানুষকে। শেষবার রতনকে দেখা গিয়েছিল, ২০২০ সালে, 'সন্তোষী মা' -এ। তবে এই শো-এর শ্যুটিং তিনি ২০১৮ সালেই শেষ করেছিলেন। এরপরে রতন বলেছিলেন, তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে, তিনি খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।
জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছে রতনের!
অভিনেত্রী জানান, বাবা মারা যাওয়ার পরে তাঁর কিছুই ভাল লাগত না। কাজে মন বসত না। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে রতন মনোবিদের কাছে যেতে শুরু করেন। মনের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা শুরু করেন। রতন কাজের সূত্রে মুম্বইতেই বসবাস করতেন। সেই সময়ে তিনি গ্রামে গিয়ে থাকতেন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে চাষ আবাদ করতেন। সেই সময়ে রতন উনুনে রান্না করে খেতেন। এই সময়ে রতন ব্লগিং শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আধ্যাত্মিকতার পথে হাঁটা শুরু করেন। রতন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি ২০২৪ সালে প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে দেখা করেন। এতে তাঁর জীবন বদলে যায়। এরপরে তিনি বলেন, তিনি গত ৫ বছর ধরে তিনি আধ্যাত্মিকতার পথে রয়েছেন। রতন বলেছিলেন, তিনি অটোইমিউন রোগে ভুগতেন। সেই সময়ে তিনি আলো সহ্য করতে পারতেন না। তাঁকে দিন ও রাত, সবসময় কালো চশমা পরতে হত।