মুম্বই: জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে এবং জেরার সময় ঘরে কোনও মহিলাকর্মী ছিলেন না। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী এবার নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) বিরুদ্ধেই এমনই পাল্টা অভিযোগ আনলেন।


রিয়ার জামিনের আর্জিতে তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধের বক্তব্য, জোর করে রিয়াকে দিয়ে অপরাধের স্বীকারোক্তি করিয়েছেন সিবিআই কর্তারা। জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধমূলক স্বীকারোক্তি দিতে রিয়াকে জোর করা হয়েছিল। চাপের মুখে পড়েই রিয়া এনসিবি কর্তাদের কাছে অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, যে অপরাধ তিনি আসলে করেনইনি।


গত মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রিয়াকে। তার আগে রবিবার থেকে টানা তিনদিন তাঁকে জেরা করেন এনসিবি কর্তারা। জামিনের আবেদনে রিয়ার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে , ‘জেরার সময় কোনও মহিলা অফিসার ছিলেন না, অথচ আইন অনুসারে তা থাকা বাধ্যতামূলক’।


এই প্রসঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে শীলা বারসে বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের একটি মামলার দৃষ্টান্ত। বলা হয়েছে, মহিলা অভিযুক্তদের জেরা চলাকালীন মহিলা পুলিশ কিংবা কনস্টেবল থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আদালতের সেই গাইডলাইন মেনে চলা হয়নি।


গত মঙ্গলবার রাতেই রিয়াকে পেশ করা হয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে। এনসিবির দাবি মেনে রিয়ার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করেন ম্যাজিস্ট্রেট। সেখানেই খারিজ হয় রিয়ার জামিনের আর্জি। বুধবার সকালে সেশন কোর্টে রিয়ার নতুন জামিনের আবেদন দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী। আর সেই আবেদনেই মানেসিন্ধে জানান যে তাঁর মক্কেল ‘নির্দোষ’। রিয়াকে এই মামলায় মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে।


এনসিবি রিয়া এবং শৌভিকের বিরুদ্ধে যেসব ধারা প্রয়োগ করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হল ২৭ (এ)। রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। এই ধারার জেরেই মঙ্গলবার রিয়ার জামিনের আর্জি খারিজ হয়। কোনও ধারায় যদি ১০ বছর বা তার বেশি সাজা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই মামলায় জামিন মঞ্জুর করবার এক্তিয়ার নেই ম্যাজিস্ট্রেটের। ২৭ (এ) ধারায় কমপক্ষে ১০ বছর, এবং সর্বাধিক ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।