কলকাতা: তখন অন্য ছবির কাজ চলছিল। সেইসময়ে হঠাৎ ডেকে পাঠালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। 'ভটভটি'-র টিজার, ট্রেলার দেখে তাঁর মনে ধরেছিল অভিনেতাকে। তড়িঘড়ি হাজির হলেন তিনি। স্ক্রিনটেস্ট হল.. চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনাও হল। শেষে বুম্বাদা বললেন, 'এই বিয়েটা, থুড়ি ছবিটা তুইই কর। আমি অভিনেতা চাই। তোকে ছাড়া আর কাউকে এই চরিত্রের জন্য আমি দেখতে পাচ্ছি না।'                                     


তারপরে আর ভাবনাচিন্তার জায়গা থাকে না বোধহয়। ছবি ছেড়ে বিয়েটা সেরেই ফেললেন অভিনেতা ঋষভ বসু (Rishav Basu)। পাত্রী ঈপ্সিতা মুখোপাধ্যায় (Ipshita Mukherjee)। তৈরি হল 'প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা'। ছবির নামে যেমন চমক রয়েছে, তেমনই চমক রয়েছে এই ছবির বিষয়বস্তুতেও। ঋষভ বলছেন, 'আমরা যে সময়টা বড় হয়েছি, সেসময়ে বাংলা ছবির সবচেয়ে বড় জুটি বলতেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। 'প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা' ছবিটা রমকম হলেও ভীষণ বুদ্ধিদ্বীপ্ত চিত্রনাট্য। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের প্রায় সব ছবি, প্রাক্তন থেকে শুরু করে উৎসব, সব ছবিরই সূত্র ধরে ধরে সংলাপ তৈরি করা হয়েছে। সেইসমস্ত ছবির কিছু কিছু দৃশ্য়ও রয়েছে ছবিতে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে এই ছবিটা বুম্বাদা আর ঋতুদির জন্য একটা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।'                                                                                       


আরও পড়ুন: Prosenjit Weds Rituparna: নির্ধারিত দিনের আগেই ফাঁস প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার বিয়ের রহস্য!


ছবির অফারটাও বেশ অবাকভাবেই এসেছিল ঋষভের কাছে। অভিনেতা বলছেন, 'ভটভটি দেখে বুম্বাদা আমার নাম করেছিলেন। তারপর একটা স্ক্রিনটেস্টও হয়। বুম্বাদা বলেছিলেন, এই চরিত্রের জন্য আমাকেই নাকি সেরা বলে মনে হয়েছে ওঁর। প্রথম ছবির অফার পেয়ে আমি বলেছিলাম, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বিয়ে করছে তো আমি সে সেখানে ঘটক হব! তারপর সম্রাটদা (পরিচালক সম্রাট শর্মা) বললেন, বিয়েটা করতে হবে আমাকেই।'


কলকাতাতেই গোটা ছবির শ্যুটিং হয়েছে। ঋষভ বলছেন, 'একটা গোটা নতুন টিম কাজ করেছে, প্রযোজনা করছেন বুম্বাদা। এই অ্যাকশন রয়েছে কিন্তু সেটা অন্যরকম। হিরো রয়েছে, ভিলেন রয়েছে.. সব মিলিয়ে একটা ফ্যামিলি ড্রামা।'