কলকাতা: তাঁর জীবনে বিশাল বড় অবদান মায়ের। সেতার বাজাতে ভালবাসতেন, কিন্তু ছেলের পড়াশোনার চাপ, তাঁকে সময় দিতে পারবেন না বলে মিউজিক নিয়ে চর্চা ছেড়ে দেন তিনি। সেই ছেলে বড় হয়েছে ধীরে ধীরে, পা রেখেছে অভিনয় জগতে। সেখানেও তাঁর পিছনে অবদান সেই মায়েরই। মা উপদেশ দিয়েছিলেন, ধারাবাহিক নয়, আগে কাজ করা উচিত নাটকে। থিয়েটারই হোক অভিনয়ের প্রথম ধাপ। নতুন ছবি 'অন্নপূর্ণা'-য় (Annopurna) অভিনয় করতে গিয়ে এবিপি লাইভের সঙ্গে ছবি আর ব্যক্তিগত জীবনের গল্প নিয়ে অকপট অভিনেতা ঋষভ বসু (Rishav Basu)।
এক মায়ের জীবনের ওঠাপড়ার গল্প বলবে অংশুমান প্রত্যুষের ছবি 'অন্নপূর্ণা'। এই ছবির মুখ্যভূমিকায় রয়েছে দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), ঋষভ নিজে আর অনন্যা চট্টোপাধ্যায় (Anannya Chatterjee)। এই ছবির গল্প মা-কে নিয়ে, মায়েদের শ্রদ্ধা জানাতে। ছোট থেকেই আমাদের আগলে রেখে, সমস্ত কিছু শেখান আমাদের মায়েরাই। কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন ভুলে যাই তাঁদেরও অবদান। এই গল্পও তেমন এক মায়ের।
আরও পড়ুন: Rubel Sweta: প্রেমের স্বীকারোক্তি, ভালবাসার সপ্তাহে হাতে হাত রেখে প্রকাশ্যে এলেন রুবেল-শ্বেতা
ঋষভের নিজের জীবনে মায়ের অবদান কতটা? 'অনেকটা'। বলে একবার থামলেন ঋষভ। তারপরে দম নিয়ে বলতে শুরু করলেন, 'এক্কেবারে ছোট থেকেই মা আমায় বড় করে তোলার জন্য যথেষ্ট খেটেছেন, পরিশ্রম করেছেন। আমার মা ভাল সেতার বাজাতে পারতেন। ভাল মিউজিসিয়ন হতে পারতেন। কিন্তু সেসময়ে আমার পড়াশোনার চাপ বাড়ছে। মা সেতার বাজানো ছেড়ে দেন। পরবর্তীকালে সংসারের প্রয়োজনে টিউশন করতেন মা।'
এরপরে অভিনয়ে আসতে চান ঋষভ। তাঁর ইচ্ছা ছিল, ধারাবাহিক দিয়েই কাজ শুরু করবেন তিনি। অভিনেতা বলছেন, 'মা-কে প্রথমে বলেছিলাম, ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয়ে পা রাখতে চান তিনি। কিন্তু মা বলেছিল, ধারাবাহিক নয়, অভিনয়ের সূচনা পাকাপোক্ত হওয়া দরকার। এটি শিল্পকলা আর প্রথমে সেটার প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। আর তাই পর্দা নয়, মঞ্চ হোক অভিনয়ের শুরু। ভাগ্যিস সেদিন মা বলেছিলেন। তাই আজ এইটুকু হলেও কাজ করতে পারছি। আমার মধ্যে যা যা স্নেহশীলতা, মানবিকতা রয়েছে সবেরই অনুপ্রেরণা মা।'