মুম্বই: আধুনিক ভারতের সেলুলয়েডে নতুন ধারার প্রেমের দূত ছিলেন ঋষি কপূর। ১৯৭০ সালে প্রথম রাজ কপূরের চলচ্চিত্র 'মেরা নাম জোকার' -এ প্রথম অভিনয় ঋষির। তখন শিশুশিল্পী ছিলেন তিনি। তারপর 'ববি' ছবিতে রূপোলি পর্দায় স্বমহিমায় আসেন এক রোম্যান্টিক নায়ক। তারপর দিওয়ানা, নাগিন, প্রেম রোগ, দামিনী, ইনা মীনা ডিকা, দো দোনি চার থেকে শুরু করে হালফিলের মুল্ক, স্টুডেন্ট অফ দা ইয়ার, জাব তাক হে জান, অগ্নিপথ, প্রত্যেক চরিত্রেই নিজের বিশেষত্বের সাক্ষর রেখে গেছেন ঋষি। নিজের ২৭ বছরের ফিল্মি জীবনে মোট  ৯২ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋষি কপূর।

২০১২ সাল থেকে নিজের কেরিয়ারে বেশ কিছু ছবিতে নেতিবাচক ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ঋষি কপূর। অগ্নিপথ ছবিতে 'রউফ লালা' র চরিত্র ছোট হলেও মন কেড়েছিল দর্শকের। সঞ্জয় দত্ত ও ঋষি কপূরের মুখোমুখি হওয়ার দৃশ্যে ঋষির অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন সবাই। 'অগ্নিপথ'- এর পরিচালক কর্ণ মলহোত্র স্মরণ করেছেন এই তুখোড় অভিনেতার স্মৃতি। ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন কর্ণ জোহর।



একটি সাক্ষাৎকারে কর্ণ মলহোত্র বলেন,  'আমার মনে আছে ঋষি ছিলেন পাগল, রাগী কিন্তু ভালোবাসা যায় এমন মানুষ। তিনি নিজেই প্রত্যেক ছবির ব্যক্তিত্ব তৈরি করে নিতেন। অভিনয় নিয়ে প্রচুর নতুন  ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেন তিনি। আমি তাঁর নিজস্বতার জন্যই তাঁকে ভালোবেসে ফেলেছি।'

চোখে সুর্মা পরে সিঁড়িতে বলা ঋষির সংলাপগুলি দাগ কেটেছিল দর্শকের মনে।  সঞ্জয় দত্ত ও ঋষি কপূরের মুখোমুখি হওয়ার দৃশ্যে ঋষির অভিনয় ছাপিয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়ের অভিনয়কেও। ফিল্মি কেরিয়ারের শেষ ৮ বছরের মধ্যে এটিই ছিল ঋষির অভিনীত সেরা চরিত্র। তিন মিনিটের একটি দৃশ্যেই দক্ষ অভিনেতার পরিচয় দিয়েছিলেন ঋষি। এই ছবিতে ঋষি কপূর ছাড়াও হৃতিক রোশন, সঞ্জয় দত্ত, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া অভিনয় করেছিলেন।