কলকাতা: তখন তাঁর মাত্র ৪ বছর বয়স। বাবা-মায়ের সদ্য বিচ্ছেদ হয়েছে। মায়ের সঙ্গেই রয়েছেন দুই কন্যা। কিন্তু জন্মদিন বলে কথা। মা কোনোদিন অভাব বুঝতে দেননি মেয়েদের। নিজের হাতে বানিয়ে দিতেন জামা, সঙ্গে মিলিয়ে হেয়ারব্যান্ড। জন্মদিনে অতিথিদের দেওয়ার জন্যও ছোট ছোট উপহার নিজের হাতে বানিয়ে দিতেন মা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতিও। একরত্তি সেই মেয়ে এখন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এখন মেয়ে 'পলিন'-এর জন্মদিনে মা ভেবে পান না, তাঁকে কী দেওয়া যায়, মেয়ের তো সবই আছে!
এই বছর জন্মদিনে তাই অন্য পরিকল্পনা। অভিনেত্রীর মায়ের কাছে থেকেই পড়াশোনা করছে চার খুদে। তারাই এই বছর নিজের হাতে উপহার বানিয়ে নিয়ে এসেছে তাদের 'দিদি'-র জন্য। আইসক্রিমের কাঠি আর দেশলাই দিয়ে বানানো নৌকো, হাতে বানানো চাঁদ মালা.. ছোট্ট উপহারে মাখানো একরাশ ভালোবাসা। এবিপি লাইভকে (ABP Live) ফোনের ওপার থেকে উচ্ছসিত গলায় সেই গল্পই শোনাচ্ছিলেন বার্থ ডে গার্ল, ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)
এই বছর জন্মদিন কেমন কাটছে নায়িকার? ঋতাভরী বলছেন, 'সকালে আমার স্কুলের (দ্য আইডিয়াল স্কুল ফর ডেফ অ্যান্ড ডাম) এর খুদেদের সঙ্গে কেক কাটলাম। তারপর মায়ের কাছে হাতের কাজ শিখে কয়েকজন খুদে আমার জন্য উপহার বানিয়ে এনেছিল। আর রাতে ঘরোয়া পার্টি আছে। সেখানে আমার খুব কাছের কিছু বন্ধুরা উপস্থিথ থাকবে। মুম্বই থেকে দিদি এসেছে আমার জন্মদিনের জন্যই। রাজ্যের বাইরে এমনকি বিদেশ থেকেও বন্ধুরা এসেছেন আমার সঙ্গে এই দিনটা কাটাবেন বলে। যত বয়স বাড়ছে, মনে হচ্ছে এই ভালোবাসাটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।'
আরও পড়ুন:Chitrangada Satarupa: একরত্তি এই মেয়েই আজ টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, জন্মদিনে প্রকাশ্যে অদেখা ছবি
সন্ধের পার্টিতে কী কী আয়োজন থাকবে? ঋতাভরী বলছেন, 'আমার জন্ম ৯০-এর দশকে। তাই এবারের পার্টির থিমও নব্বই এর দশকের মতোই। প্রতিবছর জন্মদিনে আমার স্টাইলিস্ট স্যান্ডি যা বানিয়ে দেয়, সেই পোশাকই পরি আমি। আমার ৪ বছর বয়সে মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। সেই সময় অভাব ছিল, কিন্তু মা কখনও বুঝতে দেননি। একইরকম উৎসাহে জন্মদিন পালন করতেন আমার। নিজের হাতে সেলাই করে বানিয়ে দিতেন নতুন জামা। এবার একটা খুব সুন্দর হলুদ পোশাক বানিয়ে দিয়েছে স্যান্ডি। সেটা পরেই হাজির থাকব পার্টিতে। আর সবার জন্য আমার তরফ থেকে উপহারের আয়োজন রয়েছে।'
আর তথাগত? সলজ্জ হেসে ঋতাভরীর জবাব, 'আমায় বলেছে, একটা উপহারে ভরা ব্যাগ থাকবে আমার জন্য। তবে তাতে কী কী রয়েছে সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সন্ধে পর্যন্ত।'