কলকাতা: এই ছবিতে তাঁর লুক থেকে চরিত্র এক্কেবারে আলাদা। সেই চরিত্র হয়ে ওঠার মধ্যে রয়েছে একাকিত্বের যন্ত্রণা। রয়েছে একা থাকার কষ্ট। রয়েছে সব পেয়েও অনেক কিছু না পাওয়ার আক্ষেপ। 'পরী' হয়ে উঠতে গিয়ে, 'পরী'-র জীবনের দুঃখ, মনখারাপ কী ছুঁয়ে গেল ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)-কেও? এবার পুজোয় মুক্তি পাবে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) ও নন্দিতা রায়ের (Nandita Roy)-এর পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবি 'বহুরূপী' (Bohurupi)। আর সেই ছবিতেই 'পরী'-র চরিত্রে দেখা যাবে ঋতাভরীকে। ছবির লুক প্রকাশ পাওয়ার পরে, তাঁর চরিত্র নিয়ে কলম ধরলেন ঋতাভরী। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতাভরী 'পরী'-র লুকের একাধিক ছবি শেয়ার করে নিয়ে লিখেছেন নিজের মনের কথা, পরীকে নিয়ে নায়িকার অনুভূতির কথা। ঋতাভরীর কথায়, 'একাকীত্ব বড় কঠিন জিনিস। সম্পূর্ণ একা হওয়ার থেকেও কষ্টকর, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ আছে, কিন্তু তাকে তুমি কাছে পাও না। অথচ বুক ফেটে গেলেও, তাকেই চাও। চাও তার স্পর্শ, তার আলিঙ্গন। সে সামনে, অথচ সে অধরা- এ বড় যন্ত্রণার।' ঋতাভরী আরও লিখছেন, 'আমার সৌভাগ্য, আমি ‘ফাটাফাটি’ আর ‘ব্রক্ষ্মা জানেন গোপন কম্মটি’- তে এমন দুটো চরিত্র ফোটাতে পেরেছি, যারা সমাজের সাথে লড়েছে। ‘পরী’ আলাদা। সে নিজের সাথে লড়ছে। তার ‘বাবি’ পুলিশ। সে তার হয়েও, তার নয়। নিজের সঙ্গে লড়াই যে কি কষ্টকর, তা পরীর আর সুমন্তর জীবন ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে দেখেছি। জীবনে এরকম কষ্ট আমিও পেয়েছি, এবং তা জীবনের দিশা বদলে দিয়েছে বার বার। তাই হয়তো পরী আমার আজ অবধি ফুটিয়ে তোলা সব থেকে মানবিক ও কঠিন চরিত্র। ওকে তো কেউ বোঝে না। আর ও ওর বাবিকে ছাড়া কিছু বোঝেনা… দেখা হচ্ছে পরী আর সুমন্ত সঙ্গে , এই পুজোতে…'


 






আরও পড়ুন: Anant-Radhika Blessing Ceremony: সচিন, সানিয়া থেকে ঋষভ, অনন্ত-রাধিকার 'শুভ আর্শীবাদে' উপস্থিত ক্রীড়াজগতের একগুচ্ছ তারকা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।