কলকাতা: আজ তাঁর জন্মদিন। হাতে চকোলেট কেক, গলায় নেকলেস আর কালো পোশাকে ঝলমল করছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি আপলোড করলেন তারকা। আলো আঁধারি মাখা সেই ছবিতে আলো ছড়াচ্ছে ঋতাভরীর লাল ঠোঁটের হাসি।


কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গত জন্মদিনের ছবি আপলোড করেছিলেন ঋতাভরী। ক্যাপশানে লিখেছিলেন, 'আরও একবছর বয়স বাড়তে আর মাত্র ২ দিনের অপেক্ষা। আজ নিজের জন্মদিনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ঋতাভরী লেখেন, 'জীবনের এই রোলার কোস্টারে আরও একটা দিন যোগ হল। যদি পিছনের দিকে হাঁটতে পারতাম, আমি গত সমস্ত দিনে নিজেকেই বেছে নিতাম। তবে এখনও এমন কিছু দেরি হয়ে যায়নি। প্রত্যেক বছর, জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে আমি নিজেকেই বেছে নেব।' সেইসঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ঋতাভরী লেখেন, 'যা বদলাতে পারবে না তাকে যেতে দাও।' জন্মদিনে এমনটাই রেজোলিউশান ঋতাভরীর।


২০২০ থেকে ২০২১, এক বছরে অনেক কঠিন সময় পেরিয়েছেন ঋতাভরী। নিজের শারিরীক অসুস্থতা থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি কখনোই। বরং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবাইকে ভালো রাখতে। কোভিড পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ যাতে মনের কথা বলে হাল্কা হতে পারে সেজন্য চালু করেছেন হেল্পলাইন। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন মানুষের পাশে থাকার।


সম্প্রতি UCLA( University of California ) থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন ঋতাভরী। তাঁর বিষয় ছিল 'অ্যাকটিং ফর ক্যামেরা প্রোগ্রাম'। সেই বিষয়েই প্রথম হয়েছেন তিনি। ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, 'ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে হলিউডে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমার এই অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। আমি চাই, আমার প্রোজেক্ট কালার্স অফ সাইলেন্স (Colours of Silence) হলিউড প্রোজেক্ট হিসাবে থাকুক। এই সুযোগটা হাতছাড়া করব না।'



কলকাতার সমস্ত শৌচাগারে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন লাগানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ঋতাভরী। লকডাউনের জন্য আপাতত স্থগিত রয়েছে সেই কাজ। তবে কলকাতাই প্রথম এমন একটা শহর হবে যেখানে প্রত্যেক শৌচাগারে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন থাকবে, অঙ্গীকার ঋতাভরীর।