কলকাতা: একাল-সেকাল। মাঝে ১০ বছরের ব্যবধান। দুজনেরই অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকের হাত ধরে। আর এখন, দুজনেই টলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ। এবার পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে ২জনেরই নতুন ছবি। 'বাজি' ও 'এফআইআর'। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো ও নতুন ছবি শেয়ার করে ১০ বছরের আগের পরের ছবি ভাগ করে নিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। আর তাঁর সঙ্গে ফ্রেম শেয়ার করে নিলেন কোন নায়িকা? মিমি চক্রবর্তী।
দুই নায়িকা নাকি বন্ধু হন না? এই প্রচলিত কথাকে বারে বারে চ্যালেঞ্জ করেছে বলিউড। মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানের বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। আর আজকে মিমির সঙ্গে ফ্রেম ভাগ করে, স্মৃতি হাতড়ে ঋতাভরী বোঝালেন, পেশার বাইরেও তাঁরা ভালো বন্ধুই। 'ওগো বধূ সুন্দরী' ও 'গানের ওপারে', এই দুই ধারাবাহিকের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল এই দুই নায়িকার যাত্রা। ঋতাভরী লিখছেন, 'আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে 'বাজি' ও 'এফআইআর'। ১০ বছর আমরা কেবল টিঁকেই থাকিনি, লড়াইও করেছি। এই ১০ বছর রোলার কোস্টার রাইড ছিল আমাদের জন্য। অনেক খারাপ ও ভালো সময় এসেছে। তবে আমি তোমার ও নিজের জন্য গর্বিত। আমি জানি, তুমি ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অনেকদিন রাজত্ব করবে। সেটা ইন্ডাস্ট্রির ঝলমলে দিকটার জন্য নয়, কঠিন পরিশ্রম দিয়ে।' দুটি ছবিও এই লেখার সঙ্গে জুড়ে দেন নায়িকা।
সামনেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি, 'এফআইআর'। প্রচারের কাজে হামেশাই তাই এদিক ওদিক ছুটে বেড়াতে হচ্ছে তাঁকে। তবে প্রিয় একরত্তিদের জন্য তিনি সময় বের করবেন না সেটা কী করে হয়? নতুন জামা নিয়ে তাঁর 'আইডিয়াল স্কুল ফর ডেফ অ্যান্ড ডাম'-এ পৌঁছে গেলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। শিশুদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নতুন জামা, খাবার এবং আনন্দ।
'দ্য আইডিয়াল স্কুল ফর ডেফ অ্যান্ড ডাম' নামে একটি স্কুলের দায়িত্ব নিয়েছেন ঋতাভরী। সেখানে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কেবল পঠন-পাঠন নয়, বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে ওইসব কচিকাঁচাদের মধ্যে পৌঁছে যান ঋতাভরী। তাঁদের নিয়েই কাটে ঋতাভরীর বিশেষ দিনগুলি। বাদ গেল না এবারের দুর্গাপুজোও। এবারও পুজোর শুরুতে নিজের স্কুলে পৌঁছে গেলে ঋতাভরী। ছোটদের হাতে তুলে দিলেন নতুন পোশাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোটদের সঙ্গে পুজো উৎযাপনের ছবি শেয়ার করেছেন ঋতাভরী। হলুদ পোশাকে ঋতাভরীকে যথারীতি ঝলমলে দেখাচ্ছিল। ছবি শেয়ার করে ঋতাভরী জানালেন, আজ তাঁর স্কুলের ছোটদের নতুন জামা পরার দিন। সেইসঙ্গে এদিন স্কুলে আয়োজন করা হয়েছিল কবিতা ওয়ার্কশপেরও। কচিকাঁচাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেক কাটেন ঋতাভরী। সবার হাতে তুলে দেন নতুন পোশাক, খাবার। করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল। ছোটদের থেকে দূরে থাকার মনখারাপ বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন ঋতাভরী। তবে আজ করোনাবিধি মেনেই স্কুলে সমস্ত আয়োজন করেছিলেন ঋতাভরী।