নয়াদিল্লি: এখনও সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে (critical condition) রয়েছেন তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার (Fashion Designer) রোহিত বল (Rohit Bal)। গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোহিতের 'dilated cardiomyopathy' অর্থাৎ স্ফীত কার্ডিওমায়োপ্যাথি ধরা পড়েছে। এই অবস্থা হয় যখন হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠগুলি প্রসারিত হয় কিন্তু পুনরায় সংকুচিত হতে পারে না, অর্থাৎ সংকোচন-প্রসারণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তার ফলে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হয় না শরীরে। 


কেমন আছেন রোহিত বল?


এক জাতীয় বিনোদন সংস্থার খবর অনুযায়ী, রোহিত বল এখন খানিক ভাল আছেন। রোহিতের কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার প্রবীণ চন্দ্র জানিয়েছেন, 'গতরাতে আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এই আশঙ্কা ছিল, কিন্তু আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি।'


হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোহিত বলকে মূলচন্দ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বন্ধু, মডেল সূরজ ভালিয়া। হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছাড়াও রোহিত বলের প্যানক্রিয়াটাইটিস, ডায়াবিটিস এবং কিডনির সমস্যা রয়েছে। সেখানে যখন তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে তখন তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রোহিত বলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জুলি দেব বলেন, 'ওঁর হৃদযন্ত্র ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে বুঝতে পেরে আমরা ভয় পেয়ে যাই। ওঁর পেসমেকার সাতটি শক দেয় এবং অজ্ঞান হয়ে যান। আমরা ভয় পেয়ে যাই যে ওঁকে বোধ হয় হারিয়ে ফেলব। ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে রোহিত চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।'


এর আগে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হন রোহিত বল, তখন এমার্জেন্সি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাতে হয় তাঁর। ৮ মে, ১৯৬১ সালে শ্রীনগরে জন্মগ্রহণ করেন রোহিত বল। ১৯৮৬ সালে শুরু করেন তাঁর কর্মজীবন। ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন 'অর্কিড ওভারসি প্রাইভেট লিমিটেড' এবং নিজের স্বতন্ত্র কালেকশন লঞ্চ করেন ১৯৯০ সালে। 


আরও পড়ুন: Yash-Rani: প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার 'শাস্তি'! রানির মা-বাবাকে ঘরবন্দি করে রাখেন যশ চোপড়া, তারপর?


সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, রোহিত বল ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করেন দিল্লির 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি'তে। ২০০৬ সালে ইন্ডিয়ান ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডসের 'ডিজাইনার অফ দ্য ইয়ার' তকমা জেতেন রোহিত। ২০০১ সালে কিংফিশার ফ্যাশন অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসের 'ডিজাইনার অফ দ্য ইয়ার' তকমাও জেতেন তিনি। ২০১২ সালে তিনি 'ল্যাকমে গ্র্যান্ড ফিনালে ডিজাইনার' খেতাব পান। ২০২০ সালে তাঁকে রজনীগন্ধা পার্লস ইন্ডিয়ান ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডসের জুরিরা 'আইকনিক ফ্যাশন ডিজাইনার অফ দ্য কান্ট্রি' তকমা দেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y