কলকাতা: তাঁর সঙ্গে সুস্মিতা সেনের (Sushmita Sen) -এর সম্পর্ক আছে কি নেই, তা নিয়ে দ্বন্দ্বের শেষ নেই। অভিনেত্রীর পাশাপাশি হামেশাই দেখা যায় তাঁকে। সুস্মিতা সেন যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন তাঁর পাশে থাকার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। রোহমান শল (Rohman Shawl)। তবে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে সত্যিই কি তাঁর সম্পর্ক নেই? প্রেমের সম্পর্কে না থাকা সত্ত্বেও কেন একসঙ্গে সময় কাটান তাঁরা? সদ্য একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন খোদ রোহমান শল।
সদ্য দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রোহমান শল বলেন, একসময়ে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল এই কথা অনস্বীকার্য। তবে এখন তাঁদের মধ্যে আর সম্পর্ক নেই। কিন্তু এখনও রোহমান ও সুস্মিতা খুব ভাল বন্ধু। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই তাঁরা এখনও দেখা করেন। একসঙ্গে সময় কাটান। তবে সুস্মিতা সেনের সঙ্গে আর তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নেই। সুস্মিতার অসুস্থতার সময়ে তিনি সুস্মিতার পাশে ছিলেন বন্ধুত্বের খাতিরেই।' তবে এখন কি কোনও প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন রোহমন? উত্তরে রোহমানের গলায় আক্ষেপের সুর। তিনি নাকি এখন একেবারেই সিঙ্গল। কারও সঙ্গে কোনও সম্পর্কে নেই। কিন্তু একবার যখন তাঁর সঙ্গে একটা বড় নাম জড়িয়ে গিয়েছে, আর তাঁকে হামেশাই দেখা যায় সুস্মিতা সেনের সঙ্গে, সেই কারণে অনেকেই মনে করেন সুস্মিতা সেনের সঙ্গে বোধহয় তাঁর এখনও সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই কেউ নাকি এগিয়ে এসে রোহমানকে প্রেমপ্রস্তাব দেয় না।
কে না জানে, সম্প্রতি শ্যুটিং করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুস্মিতা সেন। নাহ.. সাদামাটা অসুখ নয়, হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চলে চিকিৎসা। অবশেষে, দীর্ঘ চিকিৎসার পরে সুস্থ হন সুস্মিতা। ফেরেন স্বাভাবিক জীবনে। শুরু করেন শ্যুটিংও। আর এই অসুস্থতাই সুস্মিতার মধ্যে একটি বোধ তৈরি করে। হার্ট অ্যাটাকের পরে ফিরে আসা যেন সুস্মিতার দ্বিতীয় জন্ম। বাঁচার আশা ছিল না তাঁর সেখান থেকে সুস্থ জীবনে ফেরা যেন নতুন জন্মই। সেই বোধ থেকেই, তিনি আজ 'ডক্টর্স ডে' তে তৈরি করেছেন একটি ভিডিও।
আজ একটি ভিডিও শেয়ার করে নিয়েছেন সুস্মিতা। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'আমার জীবনের গল্পটা আমি নিজেই লিখি। কিন্তু মাঝে মাঝে সবকিছু হাতের বাইরে চলে যায়। আমার জীবনের ৪৫ মিনিট। সবচেয়ে দামি ৪৫ মিনিট। এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল.. এই বোধহয় শেষ হয়ে গেল সবটা। কিন্তু আমার চিকিৎসকদের অনেক ধন্যবাদ। আমার গল্পটা এখনও চলছে। ওঁরা নিজেরা হেরে যাননি আর আমাকেও হেরে যেতে দেননি। আমায় দিয়েছেন বাঁচার নতুন স্বপ্ন। ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ আমার দ্বিতীয় জন্মদিন। যদি আপনারও মনে হয় কখনও কোনও চিকিৎসক আপনাকে পূনর্জন্ম দিয়েছেন, এই 'ডক্টর্স ডে' তে সেই দিনটাকেই তবে তুলে ধরুন আপনার দ্বিতীয় জন্মদিন হিসেবে।'