কলকাতা: পাতা কেটে বাঁধা খোঁপা, কপালে পরেছে পরিপাটি চুল। গাঢ় নীল শাড়ির লাল পাড়, তাতে সোনালি কাজ। ভারী সোনার গয়নায় পুরনো দিনের নকশা। বসার ভঙ্গিমা এক ঝলকে মনে করিয়ে দেয় কী কোনও এক ইতিহাসের চরিত্রের কথা? হ্যাঁ। তিনি নটি বিনোদিনী। আর হুবহু তাঁর লুকেই ক্যামেরার সামনে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। নতুন ছবিতে এই ঐতিহাসিক চরিত্রকেই ফুটিয়ে তুলবেন তিনি। 


পরিচালক রাম কমল মুখোপাধ্যায় (Ram Kamal Mukherjee)-র পরিচালনায় বিনোদিনী দাসীর চরিত্রে অভিনয় করবেন রুক্মিণী। আজ থেকে শুরু হয়ে গেল ছবির শ্যুটিং। সহজ ছিল না রুক্মিণীকে বিনোদিনী সাজিয়ে তোলা। স্টাইল থেকে শুরু করে মেকআপ, সবকিছুই একেবারে সঠিক হওয়া উচিত। ছবিতে নজর কেড়েছে রুক্মণীর চুলে ধরণ। কেশসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন মৌসুমী ছেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, রুক্মিণী যেহেতু বেশ লম্বা, সেই সামঞ্জস্য রেখে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়াতে হয়েছিল তাঁর চুল। রুক্মিণীর নিজের চুলের সঙ্গে মানানসই লাগার জন্য, ত্রিপুরা থেকে আনানো হয়েছিল রুক্মিণীর জন্য বিশেষ চুল। পাতা কেটে চুল বাঁধার যে ধরণ সেইসময়ে ছিল, তা তৈরি করতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল মৌসুমীকে। কাজ করেনি জেল বা নারকেল তেল। শেষে জল দিয়ে চুল সেট করতে হয়েছিল রুক্মিণীর। 


অভিনেত্রীর মেকআপের দায়িত্বে ছিলেন রূপটান শিল্পী বৃথিকা বেনিয়া। তিনি জানান, বারে বারে রূপটান শেষ করার পরেও সঠিক টোন পছন্দ হচ্ছিল না রুক্মিণীর। যাঁর চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে চান নায়িকা, তাঁর সঙ্গে হুবহু মিলে যেতে হবে ত্বকের রঙ, এই ছিল নায়িকার দাবি। তৃতীয়বার রূপটান শেষ করার পরে তা মনে ধরে রুক্মিণীর। তবে রূপটান এমনই হয়েছে, যাতে রঙ আরোপিত বলে না মনে হয়। সঠিক শেডের জন্য লন্ডন থেকে আনা একটি টোনার ব্য়বহার করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন: Ankush Srabanti: 'শ্রাবন্তী আমায় বিয়ে করলে কোনও আপত্তি নেই', ঐন্দ্রিলার সামনেই বলে ফেললেন অঙ্কুশ!


পোশাকের দায়িত্বে ছিলেন সুচিস্মিতা দাশগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম যখন বিনোদিনী হিসেবে রুক্মিণীর চৈতন্য লুক ভাইরাল হয় তখনই বোঝা গিয়েছিল এই ছবির পোশাক পরিকল্পনা কতটা গুরুদায়িত্ব। পুরনো দিনে পোশাক বা ব্লাউজে ঠিক কী ধরনের সেলাই ব্যবহার করা হত সেটা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে রুক্মিণীর পোশাক। মসলিনের বেনারসীর সঙ্গে আসল সোনার গয়না, বিশেষভাবে তৈরি লাল ব্লাউজ পরিপূর্ণতা দিয়েছে রুক্মিণীর লুককে।