কলকাতা: তিনি টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। সুন্দরী এই অভিনেত্রী অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে কথাও বলেন বেশ ঝরঝরিয়ে। শুধু টলিউড নয়, তিনি পা রেখেছেন বলিউডেও। অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয় তাঁর। কিন্তু জানেন, স্কুল থেকে কলেজ, বেশ ডানপিটে ছিলেন তিনি। স্কুলে লুকিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দুপুরের টিফিনের ছুটিতে পার্কস্ট্রিটে ঘোরাঘুরি, অজস্র দুষ্টুমির গল্প রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এবিপি লাইভের সঙ্গে ছোটবেলার সেই গল্পই ভাগ করে নিলেন 'কিশমিশ' (Kishmish)-এর নায়িকা রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। 


জুতোয় লুকিয়ে মোবাইল ফোন!


লরেটোতে পড়াশোনা করতেন রুক্মিণী। অভিনেত্রী বলছেন, 'স্কুল আর কলেজ জীবন আমার ভীষণ প্রিয়। বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাস কামাই, মজা তো ছিলোই। কিন্তু কনভেন্ট স্কুল আর কলেজে পড়ার জন্য আমাদের প্রচুর সামাজিক কাজকর্ম করতে হত। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় গিয়ে আমরা ছোটদের পড়াতাম। ওইটা সেইসময় জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে থাকত। তবে ক্লাসে মোবাইল ফোন নিয়ে যেতাম জুতো বা মোজার মধ্যে লুকিয়ে। বিবিএমে পিঙ করতে করতে সেটা সাইলেন্ট থেকে লাউডে চলে যেত আর বেজে উঠত বুঝতেই পারতাম না। কতবার যে ফোন নিয়ে ধরা পড়েছি, স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি, ব্ল্যাকলিস্টেড করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। খালি একটা জিনিসই আমায় বাঁচিয়ে রাখত, সেটা পরীক্ষার রেজাল্ট। সেটা কখনও খারাপ হতে দিই নি। পড়াশোনা করে যা খুশি করো..' হেসে ফেললেন নায়িকা রুক্মিণী।


আরও পড়ুন: Kishmish: অভিনয়ে পা দেওয়ার আগেই 'কিশমিশ'-এর অফার পেয়েছিলেন রুক্মিণী!


বর্তমানের তন্বী নায়িকা কিন্তু ছাত্রীজীবনে বেশ খাদ্যরসিক ছিলেন। রুক্মিণী বলছেন, 'আমার কলেজ ছিল পার্কস্ট্রিটে। বেরোলেই খাবার। ওখানকার রেস্তোরাঁগুলো আমায় চিনে গিয়েছিল। অর্ডারটা পর্যন্ত জানত। একই অবস্থা কলেজ ক্যান্টিনেরও। আমার মুখ দেখেই খাবার এগিয়ে দিত। আমি কী ভালোবাসি, কী খাই সবাই সবটা জানত।'