কলকাতা: প্রথম প্রেম অভিনয়, শেষ রাজনীতি... আপাতত এর বেশি কিছু ভাবতে চান না সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। এই দুইই এখন তাঁর জীবনের সমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বপ্ন, পরিকল্পনা সব এই দুই পরিধিকে নিয়েই। অভিনয় আর রাজনীতি, সায়নীর জীবনের এই দুই সত্ত্বা কি একে অপরের ওপর প্রভাব ফেলে?                                                                                                                 


চরিত্র বাছার ক্ষেত্রে সায়নীর মাথায় কী নিজের রাজনৈতিক সত্ত্বা করে? সায়নী বলছেন, 'আমি নিজেই এখন চরিত্রের গভীরতা, বিষয়বস্তু ভেবে কাজ করি। চরিত্র নির্বাচন নিয়ে আমার দল আমায় কিছু বলে না। এটা একেবারেই আমার নিজের সিদ্ধান্ত। তাই আমার কাজটা একটু কম। আর আমি খুব মন দিয়ে রাজনীতিটা করি তাই অনেকের মনে হয় আমার কাছে পৌঁছনো কঠিন। আগে অনেক সাধারণভাবে ছবির অফার আসত। সেই জায়গায় এখন একটু দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমি কিন্তু সবার কাছে আগের মতোই সহজ রয়েছি।'


একটু থামলেন সায়নী, তারপর আবার বললেন, 'আগে আমি বছরে ১৪-১৫টা ছবির কাজও করতাম। তবে তখন কেবল ছবির সংখ্যাই বেশি হত, ভাল কাজ হত না। এখন ঠিক উল্টো। আমার একটা বয়সও হয়েছে। এখন যে চরিত্রগুলো আমি করি তার গভীরতা রয়েছে, কোনটা হয়তো মুখ্য চরিত্রও.... আমার মনে হয় এখন বেশি উন্নতমানের কাজ করতে পারছি। 'অপরাজিত' মুক্তি পেয়েছে, 'উত্তরণ', 'এলএসডি' রয়েছে.. অনেকে মনে করেন শাসকদলের সঙ্গে থাকলেই বেশি কাজ পাওয়া যায়। আমি বলছি, বিষয়টা একেবারেই এমন নয়।'


আরও পড়ুন: Saayoni Ghosh Exclusive: আমি নিজেকে তারকা বলে মনে করি না: সায়নী ঘোষ


ভবিষ্যতে সায়নী কোন পরিচয়ে বেশি পরিচিত হতে চান? রাজনৈতিক নেতা নাকি অভিনেত্রী? সায়নী বলছেন, 'আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বাচ্চা মেয়েদের জন্য বেশি চরিত্র লেখা হয় না। এখন আমি পরিণত চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছি। ভবিষ্যতেও করব। ঠিক তেমনই রাজনীতি এখন আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমায় মানুষ বলেন না তোমার ফিগার সুন্দর, অসাধারণ দেখতে বা নাচটা ভাল। মানুষ আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন। রাজনীতিতেও মানুষ আমায় ভালবাসা দিয়েছেন। আশা করব ভবিষ্যতে মানুষ বলবেন, তুমি একজন ভাল রাজনীতিবিদ। দুটোই সমান গুরুত্ব দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমি।'