কলকাতা: 'ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে এটাই আমার শেষ লেখা। আর এটাই হল ওর চিকিৎসার শেষ মাস' ,সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষবার ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) অসুস্থতা নিয়ে কলম ধরার ঘোষণা করলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। ভালোবাসার মানুষ ও তাঁর অসুস্থতা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখতেন সব্যসাচী। ক্যানসার আক্রান্ত ঐন্দ্রিলার খবর পৌঁছে দিতেন অনুরাগীদের কাছে। তবে শেষ হয়ে এসেছে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার মেয়াদ। 


বহুদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলার পুরনো ছবি শেয়ার করলেন সব্যসাচী। সেই ছবিতে ঐন্দ্রিলার মাথায় লম্বা চুল, শাড়ি আর কপালে টিপ। তার সঙ্গে কোলাজ করে নেওয়া অভিনেত্রীর অসুস্থ থাকার ছবি। সব্যসাচী লিখছেন, 'সেই ফেব্রুয়ারী থেকে দিন গোনা শুরু হয়েছিল আর অবশেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত ডিসেম্বর মাস এল। আমি যখন ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে প্রথম লিখতে শুরু করেছিলাম, আমার বাবা মা সহ চেনাজানা অনেকেরই ভ্রু কিঞ্চিৎ কুঞ্চিত হয়েছিল। আর সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক, কারণ এটা আমার স্বভাববিরুদ্ধ বিষয়। ঐন্দ্রিলার সাথে আমার আলাপ চার বছর আগে কিন্তু এর মাঝে আমরা কোনোদিন সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করিনি। কাপল্ ফটোশুট, টিকটক ভিডিও, বুমেরাং ইত্যাদি যা সব হয় আর কি, কখনও করিনি আমরা। আর সত্যি বলতে, আমি এগুলো করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। উনি অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন, তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন নয়।'


'কন্যাকুমারী ও দেবলীনা কারও সঙ্গেই সম্পর্ক কাজ করেনি', বিবৃতি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তথাগত


কথায় কথায় কেবল ঐন্দ্রিলা নয়, তাঁর মায়ের কথাও তুলে ধরেন সব্যসাচী। এই প্রথম ঐন্দ্রিলার পরিবারের আরও এক গল্প উঠে আসে সব্যসাচীর লেখায়। হ্যাঁ গল্পই তো। কেবল ঐন্দ্রিলা নন, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর মা ও। সেই ক্যানসার একটাই ছড়িয়ে পড়েছিল, চিকিৎসক বলেছিলেন, মাত্র ৬ মাস বেঁচে থাকবেন তিনি। এরপরেও রোগকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তিনি। শিখা শর্মা। ঐন্দ্রিলার মা। সব্যসাচীর ভাষায়, 'আসলে রোগটা ওর জিনে আছে কিন্তু লড়াইটা আছে রক্তে।'


তবে সব্যসাচী লেখেন, 'ডিসেম্বরের শেষ অবধি কেমোথেরাপি চলবে, সেটার কষ্ট অবশ্য ওকে সহ্য করতেই হবে। সাবধানতা অবলম্বন করে প্রতি তিন মাস অন্তর স্ক্যান করা হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শেই থাকতে হবে। অস্ত্রোপচারে শরীর থেকে বাদ গেছে অর্ধেক ফুসফুস, হৃদপিণ্ডের ছাল অর্থাৎ পেরিকার্ডিয়াম এবং ডায়াফ্রামের একাংশ। হাই প্রোটিন খাবার আর স্টেরোয়েড এবং বাকি ওষুধপত্রের প্রভাবে ওজন বেড়েছে প্রায় এগারো কেজি। ঐন্দ্রিলা আমায় জানিয়েছে যে ধীরে সুস্থে ওজন কমিয়ে, একেবারে সুস্থ হয়ে পরের বছর পুনরায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেই, ফিরবে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে।


">