কলকাতা: আমদাবাদে ভয়াবহ বিমান-বিপর্যয়। ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। টেক অফের পরেই ভেঙে পড়ল আমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমান। বিস্ফোরণে ভেঙে টুকরো টুকরো লন্ডনগামী ড্রিমলাইনার। ২৪২ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ল বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন কানাডার নাগরিক, ৭ জন পর্তুগালের। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে থাকায় ২৪২ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা।

সিভিল হাসপাতালের হস্টেলের ওপর ভেঙে পড়েছে এই বিমান, ফলে আহত হয়েছেন ১৫ জন চিকিৎসক। বেশ কয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়ারও মৃত্যুর আশঙ্কা। দুপুর ১.৩৯, আমদাবাদ বিমানবন্দরের ২৩ নং রানওয়ে থেকে টেক অফ করে বিমানটি। বিমান ভেঙে পড়ার আগে ATC-কে 'মে-ডে' বার্তা পাইলটের। ভেঙে পড়ার পর বিমানে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে খাক বহুতল। বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বিমানে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি মজুত ছিল। ২০১৩-র ১৪ ডিসেম্বরে বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-এর প্রথম উড়ান। ১২ বছরের পুরনো বিমান বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭।

আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার জেরে বলিউডের অনেকেই শোকপ্রকাশ করেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিমানে থাকা একজন মানুষ ও বেঁচে নেই। আর এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে সলমন খান তাঁর একটি অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা সবাই জানেন, দিনের শুরুতে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এটা সকলের জন্য দুঃখের সময়। ISRL এবং সলমান খান এই কঠিন সময়ে দেশের সঙ্গে একজোট হয়ে আছেন। আমরা এই অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার একটি দায়িত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ এখন উৎসবের সময় নয় এবং সেই কারণে আমরা অনুষ্ঠানটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই দুঃখের সময়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির সঙ্গে আছি এবং তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি। সকলে সাহস রাখুন।'

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা বেজে ৩৯ মিনিটে বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানা যাচ্ছে। বসতি এলাকার বেশকিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই বিমানেই সওয়ার ছিলেন বিজয় রূপাণী। কয়েক জন শিশুও ছিল বিমানে। দুই পাইলট-সহ বিমানকর্মীর সংখ্যা ছিল ১২।  জানা যাচ্ছে, এদিন ২৩ নম্বর রানওয়ে থেকে উড়ানের কিছু ক্ষণের মধ্যেই পাইলট May Day বার্তা পাঠান। বিপদ বুঝলে ওই বার্তা পাঠান পাইলটরা। আর তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক মেঘানিনগরের মতো জনবহুল এলাকা। যে বহুতলের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি, সেটি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।  বিমান দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন অমিত শাহ