কলকাতা: প্রয়াত পঞ্জাবের বডিবিল্ডার ও অভিনেতা ভারিন্দর সিং ঘুমা (Punjab bodybuilder-actor Varinder Singh Ghuma)। মাত্র ৪১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেতা। খবর পাওয়া যাচ্ছে, অন্য একটি অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভারিন্দর সিং ঘুমা। তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই অস্ত্রোপচার চলাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁরা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাঁধের একটি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভারিন্দর সিং ঘুমা। কাঁধে অস্ত্রোপচার চলাকালীন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তখনই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় গোটা পঞ্জাব ইন্ডাস্ট্রিই শোকাহত। অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি, ভারিন্দর সিং ঘুমা ছিলেন একজন বডিবিল্ডার ও। ফলে তিনি নিয়মিত শরীরচর্চাও করতেন। তাঁর কীভাবে এমন অকালপ্রয়াণ হল, তাতেই অবাক হচ্ছেন অনুরাগীরা।
ভারিন্দর সিং ঘুমা 'মিস্টার এশিয়া' প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। যেখানে তিনি দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়া গ্রাঁ প্রিঁ-তে সাফল্য পান। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলিতেও লড়েছেন। ভারিন্দর সিং ঘুমা পঞ্জাবি সিনেমার পাশাপাশি বলিউডেও কাজ করেছেন। তিনি সলমন খানের ‘টাইগার ৩’-এর পাশাপাশি ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মরজাওয়াঁ’-তেও কাজ করেছেন। ভারিন্দর সিং ঘুমা ছিলেন সলমন খানের অনুরাগী। অভিনেতার সঙ্গে একবার একটি পোস্টও শেয়ার করেছিলেন। যা বেশ ভাইরালও হয়েছিল। ভারিন্দর সিং ঘুমা ছিলেন ফিটনেস ফ্রিক। তিনি ভীষণভাবে জোর দিতেন শরীরচর্চার দিকে। কড়া নিয়মে বাঁধা ছিল তাঁর ডেইলি রুটিন। সেই মানুষের এমন অকাল প্রয়াণ কীভাবে হল, সেটাই ভাবাচ্ছে বলিউডকে।
অন্যদিকে, সমীর আনজান সম্প্রতি দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে 'তেরে নাম' সিনেমাটির টাইটেল ট্র্যাক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন- 'টাইটেল ট্র্যাকটি তাঁকে (সলমন) মাথায় রেখে লেখা হয়নি। যা লেখা হয়েছিল, তা ছিল ঐশ্বর্য্য রাইয়ের সঙ্গে সলমনের আসল বিচ্ছেদের গল্প। সলমন হিমেশ রেশমিয়াকে ডেকে, শট দেওয়ার আগে গানটি গাইতেন এবং কাঁদতেন। তিনি বলতেন, "তুই আয় আর আমাকে এই গান শোনা।" বিশেষ করে 'কিঁউ কিসি কো ওফা কে বদলে ওফা নেহি মিলতি', বলে গানের যে অংশ রয়েছে, সলমন মনে করতেন এই গানটি যেন তাঁর কষ্টের কথা মনে করেই লেখা। সেটে সলমান এই গান শুনে কাঁদতেন, তারপর শট দিতে যেতেন। আসলে, তাঁর বিচ্ছেদের ক্ষত তখন টাটকা ছিল।'