মুম্বই: সীমান্ত অঞ্চলে বেশ কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয় মার্কিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায়। আর এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় অন্য সমস্ত সাধারণ নাগরিকের মত বলিউড তারকা সলমন খান (Salman Khan) সমাজমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন কয়েকটি শব্দে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। পরে সেই পোস্ট মুছেও দেন তিনি। আদপে কী লিখেছিলেন সলমন খান ?
ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে লেখা পোস্ট মুছে দেন সলমন
'বজরঙ্গী ভাইজান' খ্যাত অভিনেতা সলমন খান এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লেখেন, 'এই যুদ্ধবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ'। এই পোস্টই পরে মুছে দেওয়া হয়। তবে এই পোস্ট লেখার পরেই জনরোষের মুখে পড়তে হয় ভাইজানকে। বিশেষ বিশেষ সময়ে (Salman Khan) নির্বাচিত সময়ে নীরব থাকা এবং নিজের প্রাধান্য নিয়ে তুমুল সমালোচনার শিকার হন সলমন। বহু নেটিজেন তাঁর উপরে আক্রোশ উগড়ে দেন এবং বেশিরভাগেরই বক্তব্য ছিল যে সলমন খান কেন এই যুদ্ধবিরতির আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যে প্রত্যাঘাত সেই সময় নীরব ছিলেন ? আর সেই সময় নীরব থাকার পরে এখন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হতেই পোস্ট করেছেন কেন তিনি ? কটাক্ষ, বিদ্রুপ, নিন্দার ঝড় বয়ে যায় সমাজমাধ্যমে।
সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এতে থেমে যাননি, সলমন খানকে তীব্র সমালোচনা করতে ছাড়েননি তারা। একজন নেটিজেন এই সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতিকে (Salman Khan) কটাক্ষ করে লেখেন, 'যতক্ষণ সলমন খানের ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো চালু থাকবে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি টিকে থাকবে'। আরেকজন ব্যক্তি সলমনকে কটাক্ষ করে লেখেন, 'আমির খান, সলমন খান, শাহরুখ খান, রণবীর এদের পাকিস্তান ও মধ্য প্রাচ্য থেকে বহুল সংখ্যক অনুরাগী রয়েছেন, এমনকী ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলিতে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে এই অভিনেতাদের। তারা জানে যে ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে কোনও আঘাত আনবে না। তারা পাত্তাও দেয় না।'
একজন নেটিজেন হতাশ হয়ে পোস্ট করেন, 'আমি গত ১৫ বছর ধরে সলমন খানের ভক্ত ছিলাম। কিন্তু আজ তীব্র ঘৃণা তৈরি হয়েছে এই মানুষটির উপরে, যখন যুদ্ধ চলছিল, তখন একটাও টুইট করেননি তিনি, আর যখন যুদ্ধ শেষের কথা আসে তখন তিনি টুইট করেন। সেই টুইট আবার মুছেও দেওয়া হয়। দেশের আগে কিছু নয়, জয় হিন্দ।'