মুম্বই: সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে বহু যুগ আগে। কিন্তু আজও তাঁদের নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁরা নিজেরা কিছু না বললেও, কেউ না কেউ কিছু মন্তব্য করেই থাকেন। সেই তালিকায় এবার নাম জুড়ল পরিচালক প্রহ্লাদ কক্করের। বলিউড অভিনেতা সলমন খান এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের সম্পর্ক, ব্রেকআপ নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্য়কর দাবি করলেন তিনি। (Prahlad Kakkar)

Continues below advertisement

পরিচালনায় আসার আগে ‘অ্যাডগুরু’ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন প্রহ্লাদ। মুম্বইয়ে ঐশ্বর্যার মায়ের সঙ্গে একই বিল্ডিংয়ে থাকেন তিনি। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিয়ের আগে ওই বিল্ডিংয়ে থাকতেন খোদ ঐশ্বর্যাও। সেই সূত্রেই সলমন এবং ঐশ্বর্যার সম্পর্ক, ওঠাপড়াকে কাছ থেকে দেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রহ্লাদ। ঐশ্বর্যা যে ছবির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন, তার জন্যও সলমনের সঙ্গে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ককেই দায়ী করেছেন তিনি। (Salman Khan-Aishwarya Rai)

প্রহ্লাদের কথায়, “ইন্ডাস্ট্রির আচরণে অত্যন্ত আহত হন ঐশ্বর্যা। সলমনের জন্য তাঁর পাশ থেকে সরে গিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি। সেটাতেই সবচেয়ে আঘাত পেয়েছিল। ব্রেকআপ নিয়ে তেমন কষ্ট পায়নি। কারণ ওটা হওয়ারই ছিল, সময়ের অপেক্ষা ছিল।” সলমনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া ঐশ্বর্যাকে একরকম ভাবে স্বস্তি দিয়েছিল বলে দাবি প্রহ্লাদের। তাঁর কথায়, “ও স্বস্তি পেয়েছিল। ওর জন্য বড় স্বস্তি ছিল। শারীরিক ভাবে আগ্রাসী ছিল ও (সলমন)। বড্ড বেশি অনুরক্ত ছিল। অত্যধিক অনুরক্ত কাউকে কী করে সামলাবেন?”

Continues below advertisement

ঐশ্বর্যা নিজে তাঁকে কিছু বলেছিলেন কি? প্রহ্লাদ বলেন, “না, কিন্তু আমি জানি। একই বিল্ডিংয়ে থাকতাম। ও (সলমন) হুলস্থুল বাঁধাত। দেওয়ালে নিজের মাথা ঠুকত ও। সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল, পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই। এতে সকলেই স্বস্তি পেয়েছিলেন, ওর (ঐশ্বর্যার) মা-বাবা, ও নিজে, বাকি সকলেও। ব্রেকআপ নিয়ে আহত ছিল না ও। প্রত্যেকে সলমনের পক্ষ নেওয়াতেই কষ্ট পেয়েছিল।”

আজও কোথাও না কোথাও সেই কষ্ট ঐশ্বর্যা মনে পুষে রেখেছেন বলে দাবি প্রহ্লাদের। তাঁর কথায়, “ওই ঘটনার পরই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ওর (ঐশ্বর্যার) সম্পর্কে ছেদ পড়ে। ইন্ডাস্ট্রির কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারেনি। ওর সঙ্গে ঠিক হচ্ছিল না। ও ভুল হলে, অন্য জন ঠিক হলে, দু’জনই সমান ভাবে দায়ী হলে, তা ঠিক বুঝতে পারতাম আমি। সেসব না! পক্ষপাত চলে আসে। ইন্ডাস্ট্রি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মনে হয় ঐশ্বর্যার।”

শোনা যায়, ১৯৯৯ সালে ‘হম দিল দে চুকে’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় সলমন ও ঐশ্বর্যার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০২ সালে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। পরবর্তীতে বিয়ে করে সংসারী হন ঐশ্বর্যা। অভিষেক এবং তাঁর এক কিশোরী কন্যাও রয়েছে। সলমন এর পর ফের সম্পর্কে জড়ালেও, আজও বিয়ে করেননি।