মুম্বই: কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়েছিল দক্ষিণের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা এবং দম্পতি সামান্থা রথ প্রভু (Samantha Rath Prabhu) ও নাগা চৈতন্যের (Chay Akkineni) বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) খবরে। বিবাহিত জীবনে যে ফাটল ধরেছে, তাঁর আঁচ সবার প্রথমে পাওয়া যায়, যখন নিজের সোশ্য়াল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে স্বামীর পদবি সরিয়ে দেন সামান্থা। এরপরই সমস্ত জল্পনাকে সত্যি প্রমাণ করে নিজের নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে সম্পর্কে ইতি টানার ঘোষণা করেন সামান্থা-নাগা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থেকে যে তাঁরা বেরিয়ে আসছেন, সে কথা জানান প্রকাশ্যে। সঙ্গে এই কঠিন সময়ে যাঁরা তাঁদের পাশে থেকেছেন, তাঁর উদ্দেশেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁরা।


বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর থেকে এই প্রসঙ্গে কখনও মুখ খুলতে দেখা যায়নি সামান্থা রথ প্রভু কিংবা নাগা চৈতন্যকে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের মর্যাদা বজায় রাখতে দুজনকেই নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, কেন দুই অভিনেতার সম্পর্কে বিচ্ছেদ এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। অনেকেই এর জন্য অভিনেত্রী সামান্থাকে দায়ী করতে শুরু করেন। শোনা যায়, সামান্থার অন্য সম্পর্কের কথাও। যদিও সেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে ফেরার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে আবেদন জানান অভিনেত্রী।


আরও পড়ুন - Vicky-Katrina Wedding: ভিকি কৌশলের বিয়ের আগে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট প্রাক্তন প্রেমিকা হার্লিনের


সামান্থা রথ প্রভুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর একবারও এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি নাগা চৈতন্য। চুপ ছিলেন সামান্থাও। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুলতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবেন। সম্পর্ক ছেদের যন্ত্রণায় তিনি মারা যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি অনুভব করেন যে, তিনি যথেষ্ট শক্তিশালী একজন নারী। আর এর জন্য তিনি গর্বিত অনুভবও করেন। তিনি বলেন, 'অনেক চিন্তা ভাবনার পরই আমরা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিই।'


তিনি আরও বলেন, 'এটা ঠিক যে একটা খারাপ সময় চলছে। এটা বুঝতে হবে। মেনে নিতে হবে। কথাও বলতে হবে। আমাকে আমার জীবনটায় এখনও বাঁচতে হবে। আর এই বেঁচে থাকার মধ্যে এই সমস্ত ঘটনার প্রসঙ্গও আসবে। ব্যক্তিগত জীবনে কোন কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হয়েছে, সেগুলো যেমন মনে রাখতে হবে, তেমনই আগামী দিনের ব্যক্তিগত জীবনটাও বাঁচতে হবে। আমার তো এখন নিজেকে দেখেই অবাক লাগে, এত শক্তিশালী আমি! আলাদা হয়ে যাওয়ার সময় ভেবেছিলাম আমি টুকরো টুকরো হয়ে মারা যাব। এমন একটা কঠিন সময় কাটানোর জন্য যতটা শক্তি দরকার, আমার মধ্যে ছিল না। আজ সত্যিই নিজের জন্য গর্ববোধ হয় যে ওই কঠিন পরিস্থিতি আমি কীভাবে পেরিয়ে এসেছি তা ভেবে।'


জনপ্রিয় দুই অভিনেতার বিবাহিত জীবনে ইতি টানার ঘটনায় মনে দুঃখ পান অগণিত অনুরাগীরা। একইসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা যায় কিংবদন্তি অভিনেতা নাগার্জুনকেও। ছেলে-বৌমার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনার তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, স্বামী-স্ত্রী মধ্যের বিষয় একান্তই ব্যক্তিগত।