সময় রায়না, রণবীর এলাহাবাদিয়া। ইন্ডিয়াস গট লেটেন্টে তাঁদের বেলাগাম মশকরা ঘিরে এখন বিতর্ক তুঙ্গে। রণবীরের মন্তব্যে সমালোচনার আঁচ এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে, যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। সম্প্রতি সময় রায়নার শো ইন্ডিয়াস গট লেটেন্টে এসে মা বাবার সঙ্গম নিয়ে আশালীন মন্তব্য করে বসেন রণবীর। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তারপর জল গড়িয়েছে আইন-আদালত-সংসদ পর্যন্ত। এই আবহেই এবার ভাইরাল  সময় রায়নার একটি ভিডিও । 


এই সময় রায়নারই শো ইন্ডিয়াস গট লেটেন্ট । সময়ের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু সমালোচনার আবহে সময়ের এমন একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যা দেখে ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে সমাজ মাধ্যমে। যাঁরা এতদিন সময়ের ভিডিও কন্টেন্ট সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, তাঁরাও সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, সময়  ২ মাসের একটি শিশুর চিকিৎসা নিয়ে 'কদর্য মশকরা' করছেন। 


কী আছে সেই ভিডিওয় 
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সময় মুখ-চোখ বিকৃত করে একটি ২ মাসের শিশুর অসুখ নিয়ে মজা করছেন। বলতে চেষ্টা করছেন, মাত্র ২ মাসের শিশুর জন্য দরকার ১৬ কোটি টাকা মূল্যের একটি ইঞ্জেকশন। সেই টাকা যদি জোগাড় হয়ে যায়, তখন মা-বাবার কী অভিব্যক্তি হয়, তা নিয়েই মশকরা করেছেন সময়। 


সময় বলেন, ' ২ মাসের বাচ্চার ১৬ কোটি টাকার ইনজেকশন চাই।  আপনি যদি সেই মা হতেন, আর আপনার ব্যাঙ্কে ১৬ কোটি টাকা এসে যেত, একবার অন্তত নিজের স্বামীকে পেট দেখিয়ে বলতেন....ইনফ্লেশন ইজ রাইজিং'। তারপরই বিকৃত স্বরে হেসে ওঠেন সময়। শোনা যায় উপস্থিত দর্শকদেরও হাসি। এখানেই শেষ নয়, কদর্য ইয়ার্কির মাত্রা চড়িয়ে সময় বলেন, এবার ওই শিশুর বাঁচার তো কোনও গ্যারান্টি নেই... যদি না বাঁচে, তাহলে তো কত টাকার ক্ষতি আর যদি ১৬ কোটি টাকা খরচ করে বেঁচে বড় হয়ে বলে সে কবি হবে....এরপরই সময় শিশুটির মায়ের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে হেসে ওঠেন। 


যদিও এই ভিডিও-তে হাসির খোরাক খুঁজে পাননি বহু নেটিজেন। সময়ের সমালোচনাই করেছেন বেশির ভাগ, তবে তার ব্যতিক্রমও আছে। কেউ বলেছেন,' তাকে সম্পূর্ণভাবে দোষারোপ করা যায় না কারণ আমরাই, শ্রোতারা যারা তাকে উৎসাহিত করে তার শোতে যোগ দিই বা তার ভিডিও দেখি। এই নোংরা কৌতুক এবং তার অর্থ নিয়েও শ্রোতারাও হাসছে '



কেউ আবার বলেছেন, 'ভুল করে হলেও অনেকেই হয়তো দেখে ফেলেছেন এটি ....কোথায় থামা উচিত সেটা জানে না তারা । একসময় নামতে নামতে এমন জায়গায় চলে যায় যে তারা কারো দুঃখ, কষ্ট কিছুই টের পান না। কারণ তাদের মধ্যে অনুভূতি ব্যাপারটা প্রায় শেষ হয়ে যায়।'  


এই সব সমালোচনার মধ্যেই নেটিজেনদের একাংশ মত পোষণ করেছেন, এ ধরনের কনটেন্টের উপর নিয়ন্ত্রণ দরকার। নইলে এরা বুঝবে না কোথায় থামতে হয়।