মুম্বই: মুম্বই মাদককাণ্ডে একের পর এক নয়া মোড়। গ্রেফতার শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের সঙ্গে নজরে NCB-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েও। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ। এবার তিনি বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর আশঙ্কা তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে মুম্বই পুলিশ। অন্যদিকে বম্বে হাইকোর্টকে মুম্বই সরকারের আইনজীবী জানিয়েছেন যে, দুর্নীতি রোধ আইনে পদক্ষেপ নিতে হলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠানো হয়। গ্রেফতার করতে হলে, সমীর ওয়াংখেড়েকে ৭২ ঘণ্টা আগে সেই নোটিস পাঠানো হবে। ফলে বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্ট সমীর ওয়াংখেড়ের অন্তর্বর্তী সুরক্ষা চেয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
সমীর ওয়াংখেড়েকে আড়ালে অনেকেই ডাকেন 'বলিউডের ত্রাস'। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) জোনাল ডিরেক্টর এর আগেও বেশ কয়েকজন বলিউড সেলিব্রিটিকে জরিমানা দিতে বাধ্য করেছিলেন। ২০০৮ ব্যাচের আইআরএস অফিসার নারকোটিক্স অপারেশনের আগে কাজ করতেন শুল্ক ও পরিষেবা কর বিভাগে।
২০১১ সালে তিনি মুম্বই বিমানবন্দরে কাস্টমস বিভাগের প্রধান ছিলেন। সেই সময় অনেক বলি সেলেব্রিটিকে নানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করেছিলেন তিনি। সেই তালিকায় ছিলেন স্বয়ং শাহরুখ খানও। এই প্রথম কিং খানের সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধ সম্পর্ক নয়। সেই সময় শাহরুখকে অতিরিক্ত লাগেজ বহন করার জন্য বিমানবন্দরে ১.৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য করেছিলেন এই সমীর ওয়াংখেড়েই। শুধু তাই নয়, ২০১১-এর জুলাইতে মুম্বাই বিমানবন্দরে শাহরুখকে কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হতে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, হল্যান্ড এবং লন্ডনে পারিবারিক ছুটি কাটিয়ে মুম্বাই বিমানবন্দরে এসেছিলেন অভিনেতা। সেই সময়, ওয়াংখেড়ে বিমানবন্দরে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন। অতিরিক্ত লাগেজ কেন এবং বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ দিয়েই সেই লাগেজ ছাড়াতে বাধ্য করেন বর্তমানের এনসিবি কর্তা।
এদিকে, এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে এবার এসিপি মিলিন্দ খেতালে । মুম্বইয়ের চারটি থানায় ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। মাদককাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে গ্রেফতার করে সংবাদ শিরোনামে। বারবার বলিউডি তারকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও, কার্যত সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু, সেই তদন্তকারীই এখন নানা প্রশ্নে বিদ্ধ! একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠছে IRS-এর এই অফিসারের বিরুদ্ধে ।