কলকাতা: প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। জানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ট্যুইট করে জানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে স্মৃতিমেদুর মাধবী মুখোপাধ্যায়।
মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সন্ধ্যা দির যখন প্রথম গান বেরলো, তখন আমি খুব ছোট। ওগো মোর গীতিময় গানটা যখন বেরলো তখন আমি খুব ছোট। এই গানটা আমিও পরবর্তীকালে ওকে শুনিয়েছি। সন্ধ্যা দির সঙ্গে যেখানেই যেতাম আমাকে বলতেন মাধবী গান গাও। এমন সম্পর্ক ছিল। ঝিনুক ওর মেয়ে তখন খুব ছোট, ওর জন্মদিনে আমাদের আলুর চপ করে খাইয়েছেন। কখনও ওঁকে মনে হত মা, কখনও মনে হত দিদি, কখনও বন্ধু। এমন সম্পর্ক ছিল। কি যে বলব বুঝতে পারছি না। গানের জগতের মাতৃবিয়োগ বলে না। তেমনই হল। সেই মাতৃবিয়োগ হল। আর মায়ের কাছ থেকেই তো সন্তানরা শিক্ষা পান। ওঁর গান শুনেই আমরা শিক্ষা পেয়েছি। ওঁর গান কেউ গাইতে পারবেন না। আমার মনটা এত খারাপ লাগছে বোঝাতে পারছি না।'
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে দীর্ঘশ্বাস মাধবী মুখোপাধ্যায়ের। শোকে বিহ্বল অভিনেত্রীর গলার স্বর বুজে আসছিল।
জানুয়ারির শেষ দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতলে (SSKM Hospital) ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আচমকাই জ্বর আসে শিল্পীর। সকালে জ্বর বাড়লে চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে পরীক্ষা করালে করোনা ধরা পড়ে গীতশ্রীর।
খবর পেয়ে ২৭ জানুয়ারিই এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে শিল্পীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এর পর সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে এসএসকেএম থেকে শিল্পীকে অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। শিল্পীর বাড়ির লোকজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাইলেও, শিল্পীর যেহেতু হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি মমতা।
তারপর থেকেই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তার। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আপাতত স্থিতিশীল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তবে শেষ রক্ষা হল না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।