কলকাতা: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল মুম্বইয়ের একটি স্থানীয় কোর্ট। এর আগে, সেফ আলি খানের ওপর হামলার অভিযোগে ধৃত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম ইতিমধ্যেই ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত কাটিয়ে ফেলেছে। আর এবার, তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল মুম্বইয়ের আদালত। অভিযুক্ত সত্যিই সেফের ওপর হামলার ঘটনায় দোষী কি না, তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
আজ আদালতে শরিফুলকে পেশ করে পুলিশ আরও ২ দিনের কাস্টডি চেয়েছিল কারণ কলকাতায় শরিফুল কোথা থেকে এসেছিল বা কোথা থেকেই বা সিম কার্ড পেয়েছিল তাই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সেই কারণেই আরও ২ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছিল পুলিশ। তবে তা দিতে রাজি হননি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, তদন্ত প্রায় শেষের পথে। শরিফুলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে। সেই কারণেই আর পুলিশি হেফাজত নিঃপ্রয়োজন। শরিফুলকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দিয়েছে পুলিশ। যদিও সেফ আলি খানের বাড়ি থেকে মেলা আঙুলের ছাপের সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপ আদৌ মিলল কী না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই নদীয়ায় খোঁজ মিলেছে এক সন্দেহভাজনের। এই ঘটনার তদন্ত করতে আগেই মুম্বই থকেকে কলকাতা এসেছিল বিশেষ পুলিশের ফোর্স। পুলিশের সন্দেহ ছিল, মহম্মদ শরিফুল একা নয়, এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে আরও কেউ। সেফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মল শরিফুলকে। জেরায় জানা গিয়েছে, শরিফুল আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে ভারতে থাকার কোনও নথি মেলেনি। কেবল মিলেছে বাংলাদেশের নথি।
এই ঘটনায় শরিফুলের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি সিম কার্ড। কিন্তু সিম কার্ডগুলি শরিফুলের নামে ছিল না। যাঁর নামে সিম কার্ড ব্যবহার করছিল শরিফুল, অবশেষে তাঁর খোঁজ পেল মুম্বই পুলিশ। খবর ছিল, সিমকার্ড গুলি তোলা হয়েছিল খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখের নামে। নদিয়ার মাজদিয়ায় খুকুমণির খোঁজ পেয়েছে মুম্বই পুলিশ। ৪ মাস আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন তিনি, মুম্বই পুলিশের কাছে দাবি করেছেন খুকুমণি। হাসপাতাল থেকেই খোয়া যায় তাঁর মোবাইল ফোন, দাবি খুকুমণির। সেই খোয়া যাওয়া মোবাইলের সিম কার্ড কীভাবে পৌঁছল শরিফুলের কাছে ? তদন্তে মুম্বই পুলিশ। সিম কার্ড তোলা হয়েছে খুকুমণির নামে, যাঁর বাবার নাম জাহাঙ্গির শেখ। সিম কার্ডের মালিকের খোঁজ করতে গতকাল নদিয়ার চাপড়ায় গিয়েছিল মুম্বই পুলিশের টিম।