কলকাতা: শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেওয়া খুনি থেকে শুর করে দুঁদে পুলিশ অফিসার, নিপাট ভালোমানুষ, সব চরিত্রেই অবাধ যাতায়াত তাঁর। টলিউড পেরিয়ে এই অভিনেতা পা বলিউডেও এখন নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। তবে একটি চরিত্রে এখনও পর্যন্ত নিজেকে মেনে নিতে পারেননি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)। কী সেই চরিত্র? ফেলুদা। 


সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরে সব্যসাচী চক্রবর্তী, আবীর চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায়চৌধুরী আর এখন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত.. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে 'ফেলুদা'-র অভিনেতা। 'বাক্স রহস্য' ছবিতে তোপসের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায়। কখনও ফেলুদা হিসেবে অভিনয় করার ইচ্ছা হয়নি তাঁর? হাসতে হাসতে শাশ্বত বললেন, 'আমার কাছে ফেলুদা হওয়ার অফার আসেনি আর ভাগ্যিস আসেনি। আমরা যে ফেলুদার কথা ছোটবেলা থেকে পড়ি তার ৬ ফুট হাইট, বজ্রের মত কন্ঠস্বর, ফিট চেহারা.. আমি নিজের সঙ্গে ফেলুদার মিল পাইনি কখনও। আমার চোখে এখনও সেরা ফেলুদা অল্পবয়সের সব্যসাচী চক্রবর্তী। আমি অবশ্য প্রথম দুটো ছবি ছেড়ে দিচ্ছি কারণ সেটা শ্রষ্টার নিজের সৃ্ষ্টি। কখনও যদি বাবুদা (সন্দীপ রায়) ভুল করেও আমায় ফেলুদার চরিত্র অফার করেন, আমি হাতজোড় করে ফিরিয়ে দেব। কারণ দর্শকাসন থেকে আমি নিজেকে নিজেই ফেলুদা হিসেবে মেনে নিতে পারব না।'


আরও পড়ুন: New Movie Update: বাড়িতে কি সব শিশু কন্যা সুরক্ষিত? প্রশ্ন তুলবে 'ইয়েস পাপা', ছবির সমর্থনে হেমা মালিনী


আরও একবার পর্দায় তিনি গোয়েন্দা লালবাজার। শবর। সেই ছবিতে ঘটনার ঘনঘটা রয়েছে, রহস্য সমাধান রয়েছে, অ্যাকশন সিক্যুয়েন্সও রয়েছে। তবে বাস্তবে শবর আর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee) মধ্যে বিশাল বড় অমিল রয়েছে। সেটা অভিব্যক্তির। 


ব্যক্তি শাশ্বতর মুখে খুব সহজেই অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে, সেটা অন ক্য়ামেরা হোক বা অফ ক্যামেরা। শাশ্বত বলছেন, 'শবর হাসির কথাও বলে অভিব্যক্তিহীন মুখে। লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় চেয়েছিলেন শবর পাথর হবে। তার কোনও অভিব্যক্তি থাকবে না। আমার মুখে খুব সহজেই অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে। আমায় ওই পাথরের মতো সংলাপ বলাটা খুব সচেতনভাবে অভ্যাস করতে হয়েছে। এই ছবিতে শবর ছুটেছে কম, অ্যাকশন করেছে বেশি। তার জন্য বেশ অনুশীলন করতে হয়েছে, শিখতে হয়েছে। তবে সবটাই করেছি সাবধানতা অবলম্বন করে। ভয় পেতাম, চোট লেগে যাওয়ার।'