নয়াদিল্লি: গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা, পরিচালক সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)। বয়স হয়েছিল ৬৬। শেষ তিনি ছিলেন দিল্লিতে, যখন তিনি হঠাৎই অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন এবং তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশ নাকি অভিনেতার ফার্মহাউজ (farmhouse) থেকে 'ওষুধ' ('medicine') পেয়েছেন। 


সতীশ কৌশিকের ঘর থেকে মিলল 'ওষুধ'?


সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের মতে, অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তকারী দিল্লি পুলিশ ফার্মহাউজ থেকে কিছু 'ওষুধ' উদ্ধার করেছে যেখানে তিনি পার্টিতে যোগদান করেছিলেন। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, 'আমরা তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। বিজবাসনের খামারবাড়ি থেকে কিছু ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে যেখানে সতীশ কৌশিক একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। অতিথিদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।'


সূত্রের খবর অনুযায়ী, এক শিল্পপতি এক পার্টির আয়োজন করেন ফার্মহাউজে। পুলিশ সেই অতিথিদের তালিকা তৈরি করছেন। দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে অভিনেতার ময়না তদন্ত করা হয়। এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী জানিয়েছেন যে অভিনেতার মৃত্যুর খবর তাঁরা গুরুগ্রামের ফর্টিস হাসপাতাল থেকে পেয়েছেন। 


প্রসঙ্গত, ৯০ এর দশকে একাধিক ছবিতে তার রঙিন উপস্থিতি অনেককেই মোহিত করে। সাধামাটা ভাবেই তিনি যেন যেকোনও চরিত্রে ঢুকে পড়ার ম্যাজিকটা জানতেন তিনি। বয়সের বেড়া ডিঙিয়ে তিনি মন ছুঁয়ে যান সকলের। কুন্দন শাহ-র একটি পলিটিক্যাল স্যাটায়ারে তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতীয় তবলা বাদকের ভূমিকায় গোবিন্দার সঙ্গে তাঁর অভিনয়ও ভোলার নয়। 


আরও পড়ুন: 'Oscars 2023': অস্কারের মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন নৃত্যশিল্পী লরেন গটলিব, পারফর্ম করবেন 'নাটু নাটু' গানে


এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সতীশ কৌশিকের পোস্টমর্টেমে, শরীরে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হৃদরোগের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, হোলি খেলার পরে রাত ১১টা নাগাদ হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন সতীশ কৌশিক। তাঁকে তখনই গুরুগ্রামের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অভিনেতা পরিচালকের। তাঁর শরীরে কোনওরকম আঘাত পাওয়া যায়নি। শরীরে পাওয়া যায়নি কোনওরকম অ্যালকোহল বা অন্যান্য মাদকদ্রব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম এই খবর শেয়ার করেছিলেন প্রয়াত সতীশের প্রিয় বন্ধু অনুপম খের। তিনি লিখেছিলেন,  'আমি জানি মৃত্যুই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি। কিন্তু আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি, জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর সম্পর্কে আমি এই কথা লিখব। আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, সতীশ কৌশিক আর বেঁচে নেই। ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে হঠাৎ ছেদ পড়ল। তোমায় ছাড়া জীবন আর আগের মতো থাকবে না সতীশ। ওম শান্তি।'