কলকাতা: প্রথমবার চরিত্র শুনতে শুনতে মনে হয়েছিল, অভিনয় নয়, এই চরিত্রের লুকটাকে ফুটিয়ে তোলাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। পরিচালক পাভেলের থেকে চরিত্রের বিবরণ শোনার পরে তিনি রাস্তায় বহু মানুষদের দেখতেন, লক্ষ করতেন তাঁদের চালচলন, কথা বলা.. সৌরভ দাস (Saurav Das) থেকে বাইচুং হওয়ার সফরে ক্যামেরার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজানা গল্প। আপাতত 'হৃদয়পুর' (Hridoypur) -এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত সৌরভ। গাড়ি করে শ্যুটিং স্পটের দিকে যেতে যেতে এবিপি লাইভকে মোবাইল ফোনে 'কলকাতা চলন্তিকা'-র সফরের গল্প শোনালেন সৌরভ। 


পাভেলের ছবিতে সৌরভের চরিত্র এক বস্তিবাসীর। সেই চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে কী কী প্রস্তুতি নিয়েছিলেন সৌরভ? অভিনেতা বলছেন, 'এক বস্তিবাসীর চরিত্রে কেবল অভিনয় নয়, তাঁর লুকটাকে ফুটিয়ে তোলাও বেশ চ্যালেঞ্জিং। নাহলে খুব ভালো অভিনয় করলেও, দর্শকেরা মনে করবেন, কী যেন অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। আমি মালয়ালি ছবি দেখতে শুরু করি, কারণ বাংলার থেকে মালয়ালি ছবিতেই এই ধরনের চরিত্র পাওয়া যায় বেশি। কিন্তু তারপরে দেখলাম, বাস্তব জীবনের চরিত্রদের থেকে অনেক বেশি সাহায্য পাচ্ছি। আমার লুকটাতে তৈরি করতে গিয়ে বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল। আমি ঠিক করলাম, স্নান করব না। পাভেল আর আমার মেকআপ আর্টিস্ট তো শুনেই রাজি। আমি চেষ্টা করি কেবল ক্যামেরার সামনে নয়, যতদিন শ্যুটিং করছি, ক্যামেরার পিছনেও সেই চরিত্রটাকে জীবন দিয়ে বাঁচতে। চরিত্রটাই তেমন ছিল। কিন্তু ১০ দিন স্নান না করে থাকাটা সহজ ছিল না। শ্যুটিং শেষে আমায় রীতিমতো ত্বকের চিকিৎসা করাতে হয়েছিল। পর্দায় আমার সেই অস্বস্তিটাই যেন চরিত্রটাকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।'


আরও পড়ুন: Vivek Agnihotri: কেন বলিউডকে 'বয়কট' করছে মানুষ? বিস্ফোরক 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' পরিচালক


প্রত্যেক চরিত্রের কিছু ব্যক্তিত্ব থাকে আর সেটা নির্ভর করে তাঁদের বেড়ে ওঠার ওপর। সেটা হয়ত চরিত্রে থাকে না সবসময়। কিন্তু অভিনেতাকে ফুটিয়ে তুলতে হয় চরিত্রের মধ্যে দিয়ে। বাইচুং বস্তিবাসী। এমন চরিত্র আগে করেননি সৌরভ। অভিনেতা বলছেন, 'সমাজে যাঁরা তথাকথিত নিচু শ্রেণীর মানুষ যাঁরা, তাঁদের আমরা সবসময় রুক্ষ-সুক্ষ দেখি। কিন্তু তাঁদের মধ্যে আরও একটা জিনিস লুকিয়ে আছে যেটা কেউ দেখে না। সেটা হল সারল্য। মানুষগুলো এত মুখের ওপর কথা বলতে পারেন বলেই এত ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। আমি বাইচুং চরিত্রটার মধ্যে যেটা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি সেটা সারল্য।