কলকাতা: বাংলা সিনেমা একেবারেই ঠিক জায়গায় আছে। বাংলা সিনেমায় কোনও গাফিলতি নেই ঐতিহাসিকভাবে। যে গাফিলতি বাংলা সিনেমাতে আছে। সেই গাফিলতি পৃথিবীর সব সিনেমাতে আছে। চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে সেরা বাঙালির সম্মান পেয়ে এবিপি লাইভকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বললেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)।
চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে সেরা বাঙালি: বিশ্বসেরা বাঙালিকে এবিপি আনন্দর কুর্নিশ। ১৮ বছরে পা 'সেরা বাঙালি'র (Sera Bangali 2022)। কৃতিত্বের নজির গড়ে চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে সেরা বাঙালির সম্মান পেলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সেরা বাঙালির সম্মান পাওয়ার পর অনির্বাণ বলেন, 'এই পুরস্কার চলমান সামাজিকতার সঙ্গে রয়েছে। আমার কাছে এক নম্বরে থিয়েটারই থাকবে। বাংলা সিনেমায় গাফিলতি নেই। বাংলা সিনেমা একেবারেই ঠিক জায়গায় আছে'।
কে থাকবে এক নম্বরে?
থিয়েটারই থাকবে এক নম্বরে। আমি সব কাজ করতেই আনন্দ পাই। সেটা সিনেমার পরিচালনা হোক, ওটিটি-র পরিচালনা হোক বা অভিনয় হোক। সব থেকে বেশি আনন্দ থিয়েটারে অভিনয় করে পাই। সবসময় থিয়েটারকে এগিয়ে রাখব। আমার শিকড় থিয়েটার। আমি যে ওটিটি বা সিনেমার কাজ করতে পারছি, তার কারণ কিনতু আসলে থিয়েটারই। এই শিল্প নির্মাণের যতটুকু যা সামান্য পাঠ আমার আছে, সেটা মূলত থিয়েটার থেকেই পাওয়া।
বাংলা সিনেমা নিয়ে কী বললেন অনির্বাণ?
"এটা একেবারেই অন্য রকমের একটা ট্রেন্ড বা অন্য রকমের আলোচনা। আমাদের তো আলোচনা চালিয়ে যেতে হয়। কারণ নানা আলোচনার জায়গা। আমাদের যদি আলোচনা ফুরিয়ে যায়, তাহলে নিজেদের মৃত বলে মনে হবে। সেরকমই একটা আলোচনা হচ্ছে বাংলা সিনেমার খুব দুর্দিন বা দুর্দশা। বাংলা সিনেমা ঐতিহাসিকভাবে একেবারেই ঠিক জায়গায় আছে। বাঙালি দর্শক যদি মনে করেন, বাংলা সিনেমা দেখবেন, তাহলে অবশ্যই দেখবেন। বাঙালি দর্শক বাংলা সিনেমা প্রতি বছর দেখেন। এবার ৪০টা ছবি হলে ৪০টা ছবিই কোনও ইন্ড্রাস্ট্রিতেই হিট করে না।'' অনির্বাণের কথায়, "একটা কেজিএফ, একটা পুষ্পা, একটা আরআরআর দেখে গোটা তেলেগু, গোটা কন্নড় সিনেমার ইন্ডাস্ট্রির বিচার করতে পারি না। সেরকম প্রতি বছর বাংলা ছবি ৪টে, ৫টা, ৬টা ছবি হিট করেই। ফলত এটা ভাবার কোনও কারণ নেই, এটা নিয়ে কান্নাকাটি করারও কোনও দরকার নেই যে বাংলা সিনেমার খুব দুর্দিন। বাংলা ছবি ঐতিহাসিকভাবে কম টাকার ছবি। বাংলা ছবিতে কোনওদিন ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ছবি তৈরি হয়নি। আজকে ১০০ কোটি, ২০০ কোটি সাড়ে ৫ লক্ষ হাজার কোটির এই আলোচনার মধ্যে বাংলা ছবি মুশকিলে পড়ে গিয়েছে। বাংলা ছবি চিরকালই ছোট টাকার মধ্যে অল্প দর্শকদের জন্য বানানো ছবির ইন্ডাস্ট্রি। সেই ইতিহাসটা যদি পরিষ্কার থাকে, তাহলে বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ানো, বসা, শোয়া নিয়ে এত চিন্তা করার কিছু আছে বলে মনে করি না।''