নয়াদিল্লি: ইলন মাস্কের মাইক্রো ব্লগিং সাইট 'ট্যুইটার' এখন বেশ কিছু বড় বদলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক তুলে নিয়েছে, যাঁরা তা সাবস্ক্রাইব করতে অস্বীকার করেছেন। ইলন মাস্ক বারবার এই ব্লু টিকগুলির (যেসব অ্যাকাউন্ট পুরনো ভেরিফিকেশন নিয়ম অনুযায়ী ব্লু টিক পেয়েছিল) প্রতি তাঁর অবজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি ঘোষণা করেন যে ব্লু টিকের দাম দিতে হবে এবার। নিজের কথায় অনড় থেকে ২০ এপ্রিল, অবশেষে সমস্ত ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়া হয় যাঁরা মাসিক ৮ ডলার করে দিতে চাননি। ১ এপ্রিল, এই ব্লু টিক সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই অবস্থায় নিজেদের অফিসিয়াল হ্যান্ডলে ব্লু টিক ফিরে পেলেন বলিউডের বাদশাহ ও শাহেনশা।
ব্লু টিক ফিরে ফেলেন শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন
সমস্ত ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়ার পর অবশ্য সেই 'দামি' টিক তিনি ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন যাঁদের ১ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার আছে। ফলস্বরূপ একাধিক তারকা যাঁদের ব্লু টিক হারিয়ে গিয়েছিল, তাঁরা দেখেন সেই টিক ফিরে আসছে কোনও টাকা না দিয়েই। এই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের কিং খান শাহরুখ। এক টাকাও খরচ না করেই তাঁর ট্যুইটারে ফিরে এসেছে ব্লু টিক।
আলিয়া ভট্ট, বিরাট কোহলি, সলমন খান, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোন, হৃত্বিক রোশনেরও টাকা না দেওয়ায় ব্লু টিক সরে যায়। কিন্তু এখন যদিও সকলের অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যে যে সকল তারকারা তাঁদের ব্লু টিকের জন্য টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে ফেলেছেন, তাঁদের এক প্রকার ক্ষতিই হল বলা চলে। এই তালিকায় রয়েছেন বিগ বি। অমিতাভ বচ্চন নিজেই জানিয়েছিলেন যে তিনি ব্লু টিক সাবস্ক্রাইব করেছিলেন, তা সত্ত্বেও তাঁর ব্লু টিক সরে যায়।
একটি ট্যুইটে অমিতাভ বচ্চন 'ট্যুইটার ভাইয়া'র কাছে ব্লু টিক ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান, যাতে অনুরাগীরা বুঝতে পারেন কোনটা তাঁর নিজের হ্যান্ডল। তাঁর ব্লু টিক ফিরে পাওয়ার পর আবার ইলন মাস্ককে ধন্যবাদও জানান তিনি মজার ট্যুইটে। বলিউড গানের আদলে লেখেন, 'তু চিজ বড়ি হ্যায় মাস্ক মাস্ক'।
লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও বিগ বি-এর মতো সেলিব্রিটিরা ট্যুইটারের ব্লু টিক-এর জন্য মাসিক ফি দিতে যেখানে সম্মত হয়েছেন, সেখানে অন্যান্য সেলিব্রিটিরা যাঁরা এই পরিমাণ অর্থ দিতে রাজি হননি তাঁরাও তাঁদের ব্লু টিক ফেরত পেয়েছেন। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনৈতিক ও অন্যায্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, ট্যুইটারের ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশনের জন্য মোবাইল ব্যবহারকারীদের মাসিক ৯০০ টাকা দিতে হবে, ওয়েবের জন্য মাসিক ৬৫০ টাকা ও বছরে ৬৮০০ টাকা দিতে হবে।