কলকাতা: দিল্লির ছেলে। সেখান থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসে পৌঁছেছিলেন মায়ানগরী মুম্বইয়ে। চোখে ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পিছনেই দৌড়েছেন তিনি। সেদিনের স্বপ্নসন্ধানী তরুণ শাহরুখ খান, আজ বছর সাতান্নর যুবক 'কিং খান'। যার জন্মদিনে উদ্বেল হয়ে ওঠে আসমুদ্রহিমাচল।  


মুম্বইতে অভিনয় জীবন শুরু থিয়েটারের মঞ্চে। তারপর সিরিয়াল হয়ে বলিউড। একের পর এক ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন তামাম সিনেপ্রেমীদের। রোমান্টিক থেকে কমেডি, অ্যাকশন থেকে চরিত্রাভিনয়-- সব ফরম্য়াটেই তিনি 'বাদশা'। তাই এখনও তাঁর কোনও সিনেমার টিজার প্রকাশিত হলেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কিং খানের বর্ণময় কেরিয়ারের অসংখ্য ফিল্মের মধ্যে থেকেই চোখ রাখা যাক এমন কিছু ফিল্মে যা সিনেদুনিয়ায় লেজেন্ড তকমা পেয়েছে।


দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে:
১৯৯৫ সাল। রিলিজ করল শাহরুখ খানের দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে বা সংক্ষেপে DDLJ. তামাম ভারত কাঁপিয়ে দিয়েছিল আদিত্য চোপড়ার পরিচালনায় শাহরুখ-কাজল এই রোমান্টিক সিনেমা। এখনও সব বয়সের সিনেপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ফিল্ম। শাহরুখ 'কিং অফ রোম্যান্স' নামেও পরিচিত। সেই পরিচয়ের পিছনে অবদান রয়েছে এই ফিল্মেরও।


কুছ কুছ হোতা হ্যায়:
১৯৯৮। শাহরুখের চতুর্থ ছবি। আবার দেশজুড়ে সিনে-জ্বর। শাহরুখ-কাজল-রানির এই ফিল্ম এখনও হল রিলিজ করলে বাজার কাঁপাতে পারে।


দেবদাস:
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ক্লাসিক উপন্যাস দেবদাস বহুবার পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু শাহরুখে দেবদাসের ঔজ্জ্বল্য হয়তো সবসময়েই অমলিন থাকবে। এই সিনেমা শাহরুখের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন। রিলিজ হয়েছিল ২০০২ সালে।


কাল হো না হো:
আজ থেকে ২০ বছর আগে হলে রিলিজ হয়েছিল এই ফিল্মটি। শাহরুখের এই ট্র্যাজেডি ফিল্ম দেখে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন তামাম ভক্তকুল।


স্বদেশ:
২০০৪ সাল। শাহরুখ খানকে একেবারে অন্য ভূমিকায় দেখলেন সিনেপ্রেমীরা। এক বৈজ্ঞানিকের চরিত্র। অ্যাকশন নেই, বিদেশের সেটে গান নেই। গোটা সিনেমা জুড়ে একেবারে ভারতের মাটির গন্ধ। দেশপ্রেমের একদম অন্য একটি পাঠ শেখালেন শাহরুখ অভিনীত মোহন ভার্গব চরিত্রটি।


চাক দে ইন্ডিয়া:
আবার শাহরুখ ম্যাজিক। চেনা ছকের বাইরে এক কোচের লড়াই। ভারতীয় মহিলা হকি দলের কোচের ভূমিকায় দেখা গেল শাহরুখকে। খেলা আর সিনেমা যেন মিলেমিশে একাকার। ২০০৭ সালের এই ফিল্মের শেষদৃশ্য গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য। 


মাই নেম ইজ খান:
এই ফিল্ম শাহরুখের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন। এক অটিস্টিক ব্যক্তির চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় কিং খানের।


ওম  শান্তি ওম:
শাহরুখের অন্যতম ব্লকবাস্টার। ২০০৭ সালের এই সিনেমায় শাহরুখের বিপরীতে ডেবিউ হয়েছিল দীপিকা পাড়ুকোনের। গান-নাচ-গল্পের অনবদ্য মশলায় ভরপুর কিং খানের এই সিনেমা।


ডন:
এই সিরিজের এখনও পর্যন্ত ২টি সিনেমা রিলিজ হয়েছে। দুটিই সিনেদুনিয়া কাঁপিয়েছে। কার্যত লেজেন্ডে পরিণত হয়েছেন ডন শাহরুখ।


'বাদশা'র ফিল্মের তালিকা শুরু করলে শেষ করা সম্ভব নয়। উপরের সিনেমাগুলি ছাড়াও আরও অসংখ্য সিনেমা রয়েছে যা স্থায়ী ভাবে থেকে গিয়েছে ভক্তদের হৃদয়ে। পহেলি, কভি খুশি কভি গম, রইস, চেন্নাই এক্সপ্রেস, মহব্বতে, মে হুঁ না------তালিকার শুরু রয়েছে, শেষ নেই।  


আরও পড়ুন: তউবা তুমহারে ইয়ে ইশারে... জন্মদিনে শাহরুখকে শুভেচ্ছা কেকেআরের