হিন্দোল দে ও রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) শান্তি পার্কে বোমাবাজিতে ৫ নাবালকের জখম হওয়ার ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ (Police) সূত্রে খবর, এলাকায় শুধু বোমা (Bombs) নয়, প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও (Arms) মজুত করা হয়েছিল। সোমবার রাতে ধৃতদের নিয়ে শান্তি পার্ক এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলি।
শান্তিপার্কে অশান্তি
নরেন্দ্রপুরের শান্তি পার্কে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় ৫ নাবালকের আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড়। এখনও অবধি এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু বোমা নয়, এলাকায় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও মজুত করা হয়েছিল। ধৃতদের নিয়ে সোমবার রাতে শান্তি পার্ক এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
সেখানে পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘর থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। পুলিশের অনুমান, আরও আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি এলাকায় মজুত থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে নাবালকদের পরিবার।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
শান্তিপার্কে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, 'আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। পঞ্চায়েতে বোট লুঠের জন্যই এই সব মজুত করা হচ্ছে? ' পাল্টা সোনারপুর উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেছেন, 'ঘটনার পর থেকেই বলে আসছি, পুলিশ পুলিশের মতো ব্যবস্থা নেবে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে শুনেছি। দল দেখার দরকার নেই, যে বা যারা যুক্ত, তাদের কঠোর শাস্তি হবে। সোনারপুর উত্তরে ভোট লুঠের দরকার পড়ে না। বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে।'
ঠিক কী হয়েছিল
নরেন্দ্রপুরের খেয়াদা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে অশান্তির সূত্রপাত এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, মণ্ডপ ভাঙচুরের পরই একদল বোমা মজুত করছিল। তা দেখে ফেলায় বোমা ছোড়া হয় নাবালকদের দিকে। জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় এফআইআরে নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা ও সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকারের ঘনিষ্ঠ প্রসেনজিৎ সাহার। তাঁর খোঁজেও চলছে তল্লাশি। প্রবীরের যদিও দাবি, পুলিশ সক্রিয় হলে এ সব ঘটতই না।
আরও পড়ুন- ফের চালু ‘দুয়ারে সরকার’, কী পরিষেবা মিলছে, বাদই বা গেল কোনটি!