কলকাতা: গাঢ় নীল ক্যাজুয়াল টি-শার্ট আর সাদা কার্গো প্যান্টে বৃষ্টির দুপুরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হলেন তিনি। কলকাতায় তাঁর ছবি মুক্তির তখন আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। বাংলাদেশে পাওয়া ছবির সাফল্য তাঁর চোখে-মুখে। 'তুফান' মুক্তির আগে, মিমির পাশে বসে বারে বারে তাঁর কথায় উঠে এল বাঙালির কথা, বাংলার কথা। শাকিব খান (Shakib Khan)। একদিনের ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে কী বলে গেলেন তিনি?
বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান, মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), নাবিলা ও চঞ্চল চৌধুরীর ছবি 'তুফান'। মূলধারার এই ছবি ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করেছে বাংলাদেশে। এদিন কলকাতায় এসে শাকিব খান বলেন, 'আমাদের আলাদা করে দেখার কিছু নেই। আমাদের পছন্দের শহর ঢাকা বা কলকাতা এভাবে বলার কিছু নেই। আমাদের একটাই পরিচয় হওয়া উচিত, আমরা বাঙালি। এই কোলাবরেশনটাই কাজ করছে বাংলা ছবির উন্নয়নের জন্য। ৪০ কোটি বাঙালি গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর থেকে অনেক কম সংখ্যাগরিষ্ঠতে নিয়ে মালয়ালি, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলুগু ফিল্ম অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। গতবছর প্রিয়তমা, সুড়ঙ্গ.. এই বছর 'তুফান' আন্তজাতিকভাবে মুক্তি পেল। বিদেশে মানুষ যে বাংলাকে কতটা মিস করে, সেটা আমরা 'তুফান' মুক্তির পরে দেখতে পেলাম। UAE -তে শো শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই শো হাউজফুল হয়েছে। সান ফ্রান্সিসকোতেও ভাল রেসপন্স পেয়েছে এই ছবি। বাংলা ছবি ১০০ কোটি কেন, হাজার কোটিতে যেতেও খুব বেশি দেরি নেই। ভাল বাংলা সিনেমা নিজেরা না দেখলে, বাংলার জয় হবে কি করে। সিনেমা বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সিনেমা একটা শিল্প, কৃষ্টিকে বয়ে নিয়ে চলে। সানফ্রান্সিসকোর একটা হলে একটা হিন্দি ছবি চলছিল আর তুফানও চলছিল। ওখানকার মানুষেরা এসে প্রশ্ন করেছেন এখানে এত ভিড় কেন, কী ছবি চলছে? বাঙালিরা গর্ব করে বলেছে, এখানে বাংলা ছবি চলছে।'
শাকিব আরও বলেন, 'আমরাও বাংলার ছবিকে ভালবাসব। কলকাতায় এখন মূলধারার বাংলা ছবি হওয়ার রেওয়াজটা একটু পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মূলধারার ছবি ছাড়া বক্সঅফিসে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। আমায় কেবল বাংলাদেশের হিরো বলবেন না। আমি দুই বাংলার, বাংলার হিরো হতে চাই।'
আরও পড়ুন: Mimi Chakraborty: মানুষ বাংলা ছবির জন্য হলে যেতে চান না, অথচ আমি ইংরেজি বললেই ট্রোলিং শুরু
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।