কলকাতা: গণেশ পুজো মানেই তো শিল্পা শেট্টি (Shilpa Shetty)-র বাড়িতে চেনা ছবি। উৎসব আনন্দে মেতে থাকে গোটা পরিবার। জাঁকজমকের গণেশ পুজো থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত আনন্দে মেতে থাকে গোটা পরিবার। পোশাকে রঙমিলান্তি, জাঁকজমকপূর্ণ সাজ.. সব মিলিয়ে শিল্পা শেট্টি আর রাজ কুন্দ্রা-র বাড়ির গণেশ উৎসব যেন ভীষণ চেনা। তবে দীর্ঘদিনের এই রীতিতে ছেদ পড়তে চলেছে। এই বছর, দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে শিল্পার বাড়িতে হবে না গণপতি আরাধনা। কিন্তু এত বছরের অভ্যাসে হঠাৎ কেন ছেদ পড়ল?
সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পা জানিয়েছেন, এই বছর তাঁরা গণেশ চতুর্থী পালন করছেন না। কারণ তাঁদের এক নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে, ১৩ দিনের ঘাট কাট পালন করার রীতি রয়েছে তাঁদের। অর্থাৎ তাঁদের অশৌচের মধ্যেই পড়েছে গণেশ পুজো। সেই কারণে এই বছর শিল্পা, তাঁর স্বামী রাজ আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গণেশ পুজোয় সামিল হতে পারছেন না। শিল্পাদের বাড়ির গণেশ পুজো দেখতে প্রত্যেকবারই অতিথি সমাগম হয়। তারকা রা তো আসেননি, তবে শিল্পারা তাঁদের প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যান। সবার সঙ্গে পালন করেন উৎসব। তবে এই বছর আর দেখা যাবে না সেই চেনা ছবি।
সদ্যই প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে গিয়েছিলেন রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টি। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রেমানন্দ মহারাজের সামনে হাত জোড় করে বসে রয়েছেন শিল্পা ও রাজ । ২ জনের পরণেই সাবেকি পোশাক । রাজ মহারাজকে বলেন, 'আমি গত ২ বছর ধরে আপনাকে অনুসরণ করছি । যখনই আমার মনে যা যা প্রশ্ন আসে, কাকতালীয়ভাবে তার উত্তর ঠিক পরের দিনই আমি পেয়ে যাই আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও না কোনও ভিডিও থেকে । প্রেমানন্দ মহারাজ রাজ কুন্দ্রাকে নাম জপ করার পরামর্শ ও দেন । কথোপকথনের মধ্যেই প্রেমানন্দ মহারাজ জানান যে, তাঁর দুটি কিডনিই কার্যত বিকল হয়ে গিয়েছে । কিন্তু সেই বিকল কিডনি নিয়েই তিনি বেঁচে রয়েছেন । এই কথা শুনে রাজ বলেন, তিনি মহারাজের কষ্ট বুঝতে পারছেন । যদি মহারাজের কাজে আসে, তাহলে তিনি নিজের একটি কিডনি মহারাজকে দিতে পারেন । এই কথা শুনে বাধা দেন মহারাজ । তিনি জানান, যখন তাঁর ডাক আসবে, তখন তিনি সেই খারাপ কিডনি নিয়েই পৃথিবী ত্যাগ করবেন । সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় । বিভিন্ন রকম মন্তব্য আসতে থাকে । তবে অনেকেই রাজ কুন্দ্রাকে এই ভাবনার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন ।