নয়াদিল্লি: সম্প্রতি পুত্র সন্তানের (Baby Boy) অভিভাবক হয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় জুটি দীপিকা কক্কর ও শোয়েব ইব্রাহিম (Dipika Kakar and Shoaib Ibrahim)। সন্তান তাঁদের প্রিম্যাচিওর (Premature delivery)। সে কথাও জানিয়েছিলেন শোয়েব। এবার সদ্যোজাতের জন্য অনুরাগীদের প্রার্থনা করতে বললেন শোয়েব, কারণ একরত্তি রয়েছে ইনকিউবেটরে।
ইনকিউবেটরে রয়েছে সদ্যোজাত, প্রার্থনা করার অনুরোধ অনুরাগীদের কাছে
প্রিম্যাচিওর বেবির জন্ম দিয়েছেন দীপিকা কক্কর ও শোয়েব ইব্রাহিম। সন্তান জন্মের খুশির খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে কাজে ফিরতে চলেছেন শোয়েব। সম্প্রতি মিডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান যে দীপিকা একেবারে সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সদ্যোজাতকে রাখা হয়েছে ইনকিউবেটরে। অনুরাগীদের কাছে অনুরোধ করেন অভিনেতা, তাঁরা যেন সদ্যোজাতের জন্য প্রার্থনা করেন।
দীপিকা কক্করের সন্তান হওয়ার খবর অনেকদিনই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি প্রথম সন্তান এসেছে তাঁদের পরিবারে। তবে আনন্দের সঙ্গে চিন্তাতেও রয়েছেন তাঁরা। একরত্তি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে দীপিকা ও শোয়েবের সঙ্গে সেই প্রার্থনা করছেন সকলেই।
২১ জুন সন্তান নবজাতকের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে দীপিকা কক্কর। পোস্টে লেখেন, 'আজ ২১ জুন ২০২৩ সকালে আমাদের কোল আলো করে পুত্র সন্তান এসেছে। প্রিম্যাচিওর ডেলিভারি হয়েছে, বিশেষ চিন্তার কারণ নেই। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।'
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দীপিকার এক সাক্ষাৎকারের কারণে শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায় যে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন, আর তার বদলে পরিবার ও সন্তানকেই সময় দেবেন। তবে এই সাক্ষাৎকার অভিনেত্রীর নজরে পড়তেই তিনি শুধরে দেন।
আরও পড়ুন: Benefits of Dragon Fruit: ওজন কমাতে আদর্শ ড্রাগন ফল! রয়েছে আরও একাধিক উপকার
তাঁর কথায়, অন্তঃসত্ত্বাকালীন এই সময় তিনি খুবই উপভোগ করছেন এবং আপাতত তিনি বিরতিতে আছেন। এক বিনোদন পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'আমি সবেমাত্র খবর দেখলাম যে আমি নাকি অভিনয়ের কেরিয়ার ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে পুরনো এক সাক্ষাৎকার থেকে আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তো আমি কেবল পরিষ্কার করে দিতে চাই যে এমন কোনও পরিকল্পনা আমার নেই। আমি সবসময়েই গৃহবধূ হতে চেয়েছিলাম। শোয়েব অফিস যাবে এবং আমি ওঁকে জলখাবার বানিয়ে দেব, বাড়ির খেয়াল রাখব। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আমি আর কখনও কাজ করতে চাই না। (হাসি)। হতে পারে আমি হয়তো আগামী চার পাঁচ বছর কাজ করলাম না বা এমনও হতে পারে যে খুব শীঘ্রই কোনও দুর্দান্ত অফার পেলাম আর আমি সেটা নিয়েও নিলাম। এমনও হতে পারে যে আমার প্রথম চার পাঁচ বছর নিজের সন্তানের জন্যই রাখলাম। তবে সবকিছুই আমি বলতে পারব সন্তানের আগমনের পর।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন