কলকাতা: করোনার জেরে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। বন্ধ সমস্ত সিনেমার শ্যুটিংও। কিন্তু মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ার পর কি সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে?


সংশয়ে রয়েছেন সুজিত সরকার। মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে দেওয়ার পরেও কীভাবে আলিঙ্গন, চুম্বন বা শয্যাদৃশ্যের মতো ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হবে, কীভাবেই বা সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সাবলীল হবেন, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন বাঙালি পরিচালক। কারণ, শারীরিক সংস্পর্শ যে করোনা সংক্রমণের অন্যতম বড় অনুঘটক!

ইনস্টাগ্রামে ‘পিকু’র পরিচালক সুজিত লিখেছেন, ‘করোনার জের কেটে যাওয়ার পরেও সিনেমার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শ্যুটিং কীভাবে হবে। বিশেষ করে আলিঙ্গন বা চুম্বনের দৃশ্যগুলো। কতটা কাছে যাওয়া ঠিক হবে... কতটা দূরত্ব থাকা উচিত... নাকি কিছুদিনের জন্য এই সমস্ত ক্ষেত্রে গল্পকে স্বাভাবিক গতিকে ফাঁকি দেওয়া হবে।’

অভিনেত্রী দিয়া মির্জা আবার মনে করেন, শুধু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নয়, পুরো সিনেমা নির্মাণ পর্বই সমস্যায় পড়বে। সুজিতের উদ্দেশে তাঁর ট্যুইট, ‘গুরু, সিনেমা নির্মাণের পুরো ব্যাপারটাই ঘনিষ্ঠ। কত মানুষ একসঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটান। আপনি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কথা বলছেন, বাকিগুলো কীভাবে বদলাবে? শ্যুটিংয়ের সময় সকলে কি মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকবে? সময়ই এর উত্তর দেবে।’

মজাও করেছেন কয়েকজন। নেটিজেনদের একজন যেমন পরামর্শ দিয়েছেন, ৬০ বা ৭০-এর দশকে ফিরে যেতে। যখন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের সময় ক্যামেরা প্যান করে দুটি ফুলের মিলন দেখাতেন পরিচালকেরা। আর একজনের পরামর্শ, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শ্যুটিংয়ের আগে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। আর একজনের মন্তব্য, করোনা প্রতিষেধক না বেরনো পর্যন্ত ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ভার্চুয়াল হিসাবে দেখানো হোক।